আ. রহিম রেজা, ঝালকাঠি
চলছে বিজয়ের মাস। বিজয়ের উল্লাস চারদিকে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের অপেক্ষা দেশজুড়ে। লাল-সবুজের পতাকা উড়বে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। দিবসটি সামনে রেখে শহর-গ্রাম-গঞ্জে জমে উঠেছে পতাকা বিক্রি। ফেরিওয়ালারা হাটে-বাজারে ঘুরে বিক্রি করছেন জাতীয় পতাকা। যেন বিজয়ের ফেরিওয়ালা ওরা!
দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রতি বছর বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রির মৌসুমি পেশা হিসেবে বেছে নেন কিছু কিছু ফেরিওয়ালা। এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাঁশের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, লাল-সবুজের মাথার কাগজের ক্যাপ, রাবার, হাতের ব্যাজ, বুকের ব্যাজ বিক্রি করছেন তাঁরা।
পতাকার ফেরিওয়ালা ফরিদপুর সদর উপজেলার আবদুল্লাহ সরদারের ছেলে কাউছার আলী (২৪) বলেন, ‘প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় আমরা পতাকা বিক্রি করি। প্রায় ৫ বছর ধরে আমি এভাবেই ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছি।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ফরহাদ খানের ছেলে মাহাবুব খাঁন (২১) বলেন, ‘ফেরি করে ফরিদপুর থেকে পতাকা বিক্রি শুরু করে বিভিন্ন এলাকা হয়ে এখন আমরা ঝালকাঠির পথে-ঘাটে পতাকা বিক্রি করছি। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের অহংকার।’
বাঁশের লাঠির সঙ্গে বিভিন্ন মাপের লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছিলেন মনিরুল ইসলাম। বয়সে তরুণ। ঝিনাইদহের একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন তিনি। কিন্তু বিজয়ের মাসে রাজধানীতে এসে উঠেছেন একটি মেসে। ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকার অলি-গলি ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন তিনি। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে কাজ করি কিন্তু প্রতি বছরই ছুটি নিয়ে বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করি। বিভিন্ন মাপের পতাকা বানিয়ে এনেছি। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পতাকাগুলো বিক্রি করব।’
পতাকা বিক্রি করছেন হামিদুর রহমান বলেন, ‘বিজয়ের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে এক ধরনের গর্ববোধও হয়। ছোট পতাকার চাহিদা বেশি।’ তিনি বলেন, ‘একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী- ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।’