রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দুই চেয়ারম্যানসহ পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে।
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত পুলিশ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা চারটি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ও তিনজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পৃথকভাবে পাংশা মডেল থানায় চারটি মামলা করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জানায় সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নির্বাচনের পর বাহাদুরপুর ইউপির শহীদ খবিরুউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মাঠে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সজিব হোসেনের নেতৃত্বে ফলাফল সঠিকভাবে গণনা না হওয়ার অভিযোগ তুলে স্কুল মাঠে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় পুলিশ সদস্যরা ৪ রাউন্ড গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোড়ে।
অপরদিকে, একই ইউপির বিলগজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা পাংশার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই স্থানীয় তারাপুর দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় একই প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা ভোটের মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ওই সময় গাড়িচালক পুলিশ কনস্টেবল সাকিব আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬১ রাউন্ড গুলি ও ৩ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস বর্ষণ করে।
এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সফুরা খাতুন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমদাদুল হক বাপ্পী বাদী হয়ে পৃথক পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পাংশা মডেল থানায়। মামলায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির শাকিল, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. সজীব হোসেনসহ ১৫ থেকে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অন্তত পাঁচ শ নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার নারী-পুরুষদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতায় থানায় পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর।’