মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর পাংশায় সংস্কারের বছর না ঘুরতেই একটি সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। সংস্কারের বিল তুলে নেওয়া হলেও ধসে পড়া সড়ক এখনো সংস্কার করা হয়নি। উপজেলার পৌর শহরের পান্নানপুর তিন রাস্তার মোড় থেকে মৌকুরী মোল্লাপাড়া বাজার সড়কে এ ধস নেমেছে।
সড়কটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চন্দনা নদী। সড়কটির মোল্লাপাড়া এলাকার প্রায় ৮০ মিটার সড়কের একাংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে যাতায়াত করা যায়। এ ছাড়া হাবাসপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনে এই সড়ক ব্যবহার করে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ যানবাহন চলাচল করে।
স্থানীয় নাজেম আলী বলেন, প্রায় ৯ থেকে ১০ মাস আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের প্রায় দুই মাসের মধ্যেই সড়কটি নদীতে ধসে পড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে খুব ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে।
মো. ওসমান মোল্লা বলেন, সড়ক সংস্কারের সময় নদীর পাশ দিয়ে প্যারাসাইট অনেক নিচু করে দেওয়া হয়েছিল, ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে নদীতে ধসে গেছে। তাঁরা বারবার বলার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিষয়টি আমলে নেয়নি।
ভ্যানচালক মো. রুবেল মোল্লা বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। সড়কটি এখন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
ইজিবাইকচালক মুনছুর প্রামাণিক বলেন, ধসে পড়া অংশে নতুন করে সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা জুড়ে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় তা ধসে পরবে। ফাটল ধরা অংশ ধসে গেলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হবে না।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিম বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ ওই সড়কটি সংস্কারের কাজ করেছেন। কাজের বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। বিল তুলে নেওয়ায় এই সড়কটির কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, কাজটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করেছেন। তাঁকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। জামানত ফেরত নেওয়ার সময় সড়কটি সংস্কারে করে দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। জামানতের সম্পূর্ণ টাকা আটকে রয়েছে। জামানত ফেরত নেওয়ার আগেই সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে দেওয়া হবে।