যশোর প্রতিনিধি
যশোর মেডিকেল কলেজে (যমেক) হাসপাতাল চালুর দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও হাসপাতাল নির্মাণ না হলে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির মতবিনিময় সভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। যশোর প্রেসক্লাবে এ সভা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৫ মার্চ যশোর-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান ধর্মঘট। ১৬ মার্চ প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন এবং ২৩ মার্চ শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের সামনে মানববন্ধন। তা ছাড়া এ সময়ের মধ্যে জনমত গঠনেও কাজ করবে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি।
এ সময় সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলেন, যশোরের পর সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। সেখানে হাসপাতালের সব কার্যক্রমও চালু হয়েছে। কিন্তু যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পর ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
নেতারা আরও বলেন, ভারতের একটা প্রজেক্টের আওতায় হাসপাতাল হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি বাতিল হয়ে গেছে। তাই বলে হাসপাতাল স্থাপন হবে না, সেটাতো হতে পারে না। আমাদেরতো আরও বিকল্প উপায় আছে, সেগুলো কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না?
নেতারা আরও বলেন, যশোর সদর হাসপাতালে শুধু স্থানীয়রাই চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন না। এখানে ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এখানে অন্তঃ ও বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। ২৫০ শয্যার হাসপাতালের লোকবল দিয়ে যা দুরূহ হয়ে পড়ে। এতে মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আইনজীবী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মাহমুদুল হক বুলু, কবি ও গবেষক বেনজীন খান, শহিদুল ইসলাম বাদল প্রমুখ।