মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
বাহান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়কে শিল্পকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে পটুয়াখালী শহরে। এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে টেরাকোটা, ম্যুরাল এবং ভাস্কর্যের মতো শিল্পকর্মকে। ইতিমধ্যে শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টেরাকোটা এবং ম্যুরালের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
আর শহরের জিরো পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য। এসব স্থাপনা রাতে আরও দৃষ্টি নন্দন করতে এবং দৃশ্যমান করতে আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে শহরবাসী।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সার্কিট হাউসের পশ্চিম পাশে এবং পটুয়াখালী পৌরসভার পূর্ব পাশে সড়কের পাশে ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে । এ জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় দুই কোটি কোটি টাকা।
এতে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শরু করে ৬৭ এর গণ-অভ্যুত্থান, ঐতিহাসিক ৬ দফা, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে। নানা রঙের টাইলস দিয়ে তৈরি এই শিল্পকর্ম অনেককেই মুগ্ধ করে। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটকে নির্মিত বঙ্গবন্ধু তোরণের দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমেও মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন মুহূর্তগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল হক বলেন, ‘ যা এক সময় বইতে দেখতাম, সে শিল্পকর্ম এখন আমাদের শহরেও দেখছি। ’
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ধারণা দিতেই এসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে তা আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’