রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ ঢালী (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় স্থানীয় বেলাল ব্যাপারী ও তাঁর লোকেরা ফিরোজের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। এদিকে হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় ফিরোজের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় ফিরোজকে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ মারা যান। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহত ফিরোজ ঢালী উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া এলাকার মৃত আশ্বাদ আলীর ছেলে। তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আহতরা হলেন, কাদিরখোলা এলাকার আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) আকরাম ঢালী (৪৭)। নিহত ও আহতরা সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর অনুসারী।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটরসাইকেলে করে ফিরোজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বেল্লাল ব্যাপারী, বেল্লালের ভাই বাকি ডাকাতসহ ৩০-৪০ জন তাঁদের গতিরোধ করে মারধর শুরু করেন।
তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফিরোজ ও হানিফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ ঢালী মারা যান। আহত হানিফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রামাপালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত বেলাল ব্যাপারী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অপরাধে জামুর লোকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেছে। সেই জেরে তাঁর লোকেরা ফিরোজের ওপর হামলা করে। তবে মারা গেছে কি না তিনি জানেন না।
রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জামিল হাসান জামুর লোকেরা বেলাল ব্যাপারীর লোকদের ওপর হামলা করেছিল বলে শুনেছেন তিনি।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।