শরীয়তপুর প্রতিনিধি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বকেয়া বিল আদায়েও গ্রহণ করা হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। অথচ শরীয়তপুরে দুটি সরকারি দপ্তরে বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে আছে ২ কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভা ও জেলা পুলিশের ২ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভার ১ কোটি ৭৬ লাখ এবং জেলা পুলিশের বকেয়া ৩৬ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন বকেয়া থাকলেও বিল পরিশোধে মাথাব্যথা নেই সরকারি এ দুই দপ্তরের। বারবার দপ্তর দুটিকে চিঠি দিয়েও সমাধান পাচ্ছে না ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কর্তৃপক্ষ।
শরীয়তপুরের ওজোপাডিকো কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছরের অধিক সময় ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার ২ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে ছিল।
একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও বিল পরিশোধ করানো যায়নি। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর কয়েক ধাপে ২০ লাখ টাকার মতো বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তবে এখনো দপ্তরটির বকেয়া ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বেশি। বিষয়টি নিয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ লাইনস ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। তাদেরও বকেয়া পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান বলেন, দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দেখি পৌরসভার ২ কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া। এক সঙ্গে এত টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই কিস্তিতে কয়েক মাস পরপর কিছু কিছু করে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ লাখ টাকার মতো পরিশোধ করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, ‘গত সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখব। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে তা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শরীয়তপুর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বিল উত্তোলনের জন্য দপ্তর দুটিকে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিল বকেয়া থাকলেও রানিং বিল দুটি দপ্তরই নিয়মিত পরিশোধ করছে। পেছনের বকেয়া থেকে কিছু টাকা পৌরসভা ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছে। বকেয়া টাকার পুরো অংশই তারা শিগগিরই পরিশোধের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে।