ইসমাঈল সিদ্দিকী
অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগরূক রাখা মুত্তাকি হওয়ার পূর্বশর্ত। এটি পরকালে মহান আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করা এবং কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার ভয়। পার্থিব কোনো সুবিধা লাভ কিংবা কোনো কিছু হারানোর ভয় নয়। এমন ব্যক্তির জন্য পুরস্কার সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন কথা বর্ণিত হয়েছে। নিচে হাদিসগুলোর ফজিলত তুলে ধরা হলো—
এক. এমন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয়ে কান্না করা ব্যক্তির জাহান্নামে যাওয়া অসম্ভব, যেমন দহন করা দুধের পুনরায় ওলানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। আর আল্লাহর পথের ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনো একত্র হবে না।’ (তিরমিজি: ১৬৩৩)
দুই. এমন ব্যক্তির দুই চোখ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখ স্পর্শ করবে না। এক. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং দুই. যে চোখ আল্লাহর রাস্তা পাহারা দিয়ে নির্ঘুম রাত কাটায়।’ (তিরমিজি: ১৬৩৯)
তিন. আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবে। সাত শ্রেণির মানুষ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তারা সেদিন আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবে, যেদিন অন্য কোনো ছায়া থাকবে না। সেই সাত শ্রেণির একটি শ্রেণি হলো, ‘যারা নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাদের দুই চোখে অশ্রু ঝরতে থাকে।’ (বুখারি: ৬৬০; মুসলিম: ৭১১)
চার. এই কাজ আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘দুটি (পানির) ফোঁটা ও দুটি (জখমের) দাগের চেয়ে বেশি পছন্দের বস্তু আল্লাহর কাছে নেই। এক. আল্লাহর ভয়ে নিঃসৃত চোখের পানি এবং দুই. আল্লাহর পথে নির্গত রক্তের ফোঁটা।’ (তিরমিজি: ১৬৬৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক