বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অসংখ্য কালজয়ী গানের জনপ্রিয় কণ্ঠ সৈয়দ আব্দুল হাদী হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সংগীতশিল্পী হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই অনেকটা বাউন্ডুলে স্বভাবের এই মানুষটির গানের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল কলের গান শুনে। এরপর ধীরে ধীরে গানের জগতে প্রবেশ ও সাফল্যলাভ—জীবনের এ গল্পগুলো সৈয়দ আব্দুল হাদী তুলে এনেছেন তাঁর লেখায়। প্রকাশ করেছেন নিজের আত্মজীবনী ‘জীবনের গান’।
এ বইয়ে উঠে এসেছে হাদীর শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও গানের জগতের পাশাপাশি চাকরিজীবনের অনেক ঘটনা। সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘আমার জীবনটা বেশ ঘটনাবহুল। অনেক চড়াই-উতরাই পার করে এখানে এসেছি। আছে সুখ-দুঃখের হাজারও ঘটনা। সেগুলো আমার অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্যই বইটি লেখা।’
জানা গেছে, আড়াই বছর ধরে ‘জীবনের গান’ বইটি লিখেছেন হাদী। এই দীর্ঘসময়ে তিনি অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দেননি। অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিকতা ঢেলে জীবনের গল্প পাঠকদের কাছে প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বইয়ে শুধু তাঁর কথাই জানা যাবে তা নয়, থাকবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উত্থানের বর্ণনাও।
হাদী আরও বলেন, ‘শিল্পীরা নিজেদের ব্যাপারে একটু উদাসীন হন। নিজের জীবনী লিখতেও অনীহা তাঁদের। আমিও উদাসীন ছিলাম। কিন্তু প্রকাশক আমাকে এক প্রকার লিখিয়েই ছেড়েছেন। আমিও লিখতে পেরে নিজেকে হালকা মনে করছি।’
‘জীবনের গান’ প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। মূল্য ৪০০ টাকা হলেও ২০ শতাংশ ছাড়ে বইটির বর্তমান মূল্য ৩২০ টাকা। অনলাইনেও কেনা যাবে সৈয়দ আব্দুল হাদীর আত্মজীবনী।