সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা উপজেলার একমাত্র সড়কটি বেহাল। প্রায় ২৬ কিলোমিটার সড়কের তিনটি অংশে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ভাঙন। বন্ধ হয়ে গেছে সড়কে যান চলাচল।
ফলে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে শিগগিরই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরুর কথা জানান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কসহ জেলার সব
কটি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার লোকজন সুনামগঞ্জ জেলা শহর, সিলেট বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করার সড়ক এটি। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য সড়কটি এখন মরণফাঁদ। মাঝখানে গর্ত ও ঢালাই না থাকায় সড়কে যানবাহন নিয়ে যেতে চান না পরিবহন শ্রমিকেরা। তিনটি স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।
এ ছাড়া উপজেলার ভিমখালি ইউনিয়নের উজ্জলপুরে পানির স্রোতে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মূল সড়কটি। সেখানে এখন খেয়া নৌকা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে। ভাঙা সড়কের কারণে অনেকে ভিন্ন সড়কে চলছেন। যদিও কালেভদ্রে সড়ক দিয়ে যানবাহন চললেও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়।
ভুক্তভোগী কামলাবাজ গ্রামের আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘এই সড়ক এখন আমাদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়া মানুষ চলাচলের মতো উপযোগী না। আমরা এই রাস্তারে এখন মরণপথ মনে করছি।’
জানিগাঁও গ্রামের লেগুনাচালক নবী হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে যাত্রী নিয়ে। তবে বর্তমান অবস্থায় যেভাবে গাড়ি চলছে এতে গাড়ির তো সমস্যা হচ্ছে, পাশাপাশি যাত্রীদের আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। তবে কিছু এলাকায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে
বাধ্য হচ্ছেন।