যশোর প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণ রোধে জনসাধারণকে বিধিনিষেধ মানাতে আজ সোমবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পাশাপাশি অন্তত ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি তদারক করবেন।
শুরুতে তাঁরা জনগণকে সচেতনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা বা জেল, এমনকি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার পদক্ষেপ নেবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘ডেলটা ভেরিয়েন্টের সময় আমরা শুরুতেই লকডাউন দিতে চাইনি। আমাদের বিভিন্ন দল সে সময় সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছে। সে সময় আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন মাধ্যমে ডোর টু ডোর গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে। কেননা, তার আগেই লকডাউনের ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই হয়েছিল।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গণসচেতনতার জন্য মাঠে রয়েছেন। আজ (রোববার) যেহেতু ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে, সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি বড় অংশ কাজ করছেন। কিন্তু সোমবার থেকে আবারও তাঁরা বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে নামবেন।’
এদিকে রোববারও যশোরে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই দেখা যায়নি। সরকারঘোষিত ১১টি বিধিনিষেধের মধ্যে কোনোটিই মানতে দেখা যায়নি তাঁদের। কিছু মানুষের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও তা সঠিকভাবে মুখে পরা নেই। কারও থুতনিতে, কিংবা কারও পকেটে। শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বর, মনিহার, নিউমার্কেট, চাঁচড়া, পালবাড়ি, মুড়লী, টাউন হল, ঈদগাহ মোড়, হাসপাতাল চত্বরসহ প্রায় সব এলাকাতেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে।