সেলিম রেজা, তজুমদ্দিন (ভোলা)
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বছর ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হবে বলে আশাবাদী চাষিরা। এক থেকে দেড় মাস পরেই উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবেন তাঁরা। যে কারণে আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, এ অঞ্চলে সাধারণত বিএডিসি, ডায়মন্ড ও হাইব্রিড এই তিনটি জাতের আলুর চাষ হয়। তবে উচ্চ ফলনের আশায় অধিকাংশ কৃষক ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের বীজ বেশি রোপণ করেছেন। এ বছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ৩২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকের রোপণ করা আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া প্রস্তুত করা জমিতে পানি জমে গিয়েছিল। তবে চাষিরা পুনরায় জমি প্রস্তুত করে চাষ করেছেন।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের আলু চাষি আবদুল মতিন বলেন, ‘নিজের জমি না থাকায় নগদ টাকায় অন্যের জমি রেখে প্রতি বছর আলুর চাষ করি। গত বছর প্রায় এক লাখ টাকা লাভ করেছি। এ বছর ১২০ শতাংশ জমিতে ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের আলুর চাষ করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, ‘আলুর জন্য ক্ষতিকর হলো ঘন কুয়াশা। যা এখনো দেখা যায়নি। কুয়াশার কারণে নাবিধ্বষা রোগ হয়ে আলু গাছের পচন ধরে। এমন রোগ দেখা দিলে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।’