হোম > ছাপা সংস্করণ

জয়া-স্বস্তিকার প্রথম দেখায় অনেক কথা

বিনোদন ডেস্ক

দুই বাংলার সিনেমায় দাপিয়ে কাজ করছেন জয়া আহসান, পা রেখেছেন বলিউডেও। অন্যদিকে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও টালিউড, বলিউড মিলিয়ে ভালো ভালো কাজ উপহার দিচ্ছেন। অনেক দিক দিয়েই ভীষণ মিল আছে দুজনের। সম্প্রতি ভারতের দ্য মর্নিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার আয়োজনে প্রথমবার মুখোমুখি বসলেন তাঁরা, বললেন অনেক কথা। তাঁদের আলাপের নির্বাচিত অংশ অনুবাদ করে প্রকাশ করা হলো আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য।

জয়া আহসান ১০ বছর ধরে টালিউডে কাজ করছেন। অথচ স্বস্তিকার সঙ্গে একবারও দেখা হয়নি?
স্বস্তিকা: আমি খুবই অসামাজিক ধরনের মানুষ। অনুষ্ঠানে খুব কম যাই। আমার মনে হয়, জয়াও সে রকম। ওকে কোথাও খুব একটা দেখা যায় না। তা ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতেই ওর সময় চলে যায়। তাই দেখা হয়ে ওঠেনি। তবে আমি জয়ার অনেক কাজ দেখেছি—আবর্ত, বিসর্জন, কণ্ঠ, বিনি সুতোয়, রবিবার, এক যে ছিল রাজা, রাজকাহিনি। এসব সিনেমায় ও যে চরিত্রগুলো করেছে, একেবারেই ন্যাচারাল। বিসর্জন দেখে আমি এত কেঁদেছিলাম! অনেক পরিচালককে আমি বলেওছি, আমাদেরকে একসঙ্গে করে একটা স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য।

জয়া: আসলেই?
স্বস্তিকা: হ্যাঁ। কিন্তু দুর্ভাগ্য। আজ পর্যন্ত কেউ এমন স্ক্রিপ্ট দিল না। তুমি বরং বাংলাদেশের পরিচালকদের বলে দেখো।
জয়া: এটা দুঃখজনক যে আমাদের একসঙ্গে কাজ হয়নি। তুমি কিন্তু বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়, তোমার কাজ দিয়ে, ব্যক্তিত্ব দিয়ে। স্বস্তিকা এখন যে কাজগুলো করছেন, সেগুলো একেবারেই তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন। ‘অসমাপ্ত’ দেখার পর থেকে আমি তাঁকে আরও বেশি ভালোবাসি।

আপনাদের নিয়ে একসঙ্গে কেউ কাজের কথা ভাবেনি কেন? সবাই কি ভাবে, আপনারা প্রতিযোগী?
স্বস্তিকা: আজই জয়ার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হলো। এই যে ফটোশুট করলাম, একবারও কি মনে হয়েছে, আমাদের ভেতরে প্রতিযোগিতার মানসিকতা আছে!
জয়া: একটা দিক দিয়ে আমি খুবই স্বার্থপর। যদি কোনো সম্পর্ক দিয়ে আমি সমৃদ্ধ না হই, সে সম্পর্ক রাখি না। আমি স্বস্তিকার সঙ্গে বারবার দেখা করতে চাই, তাঁর কাজের প্রক্রিয়া কী, তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর সংগ্রামগুলো জানতে চাই। প্রত্যেক শিল্পীর নিজস্ব জার্নি থাকে, তবে স্বস্তিকা সেগুলোকে কখনো ফলাও করে সামনে আনেন না। এ কারণে আমি তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করি। আশপাশের মানুষ ভাবতে পারে, আমরা প্রতিযোগী, কিন্তু আমি ভাবি না।

কী ধরনের চরিত্রে আপনারা কাজ করতে চান?
স্বস্তিকা: ‘বাসিরা’ সিনেমার মতো। আমি রাখির চরিত্রটি করব, আর জয়া করবে রেখার চরিত্র।
জয়া: আমি চাই, আমাদের নিয়ে একটা ইতিহাসভিত্তিক রোমান্টিক সিনেমা হোক।

দর্শক হিসেবে এখনকার বাংলা সিনেমার কাছে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
জয়া: দর্শক এখন সারা বিশ্বের সিনেমা দেখছেন। গ্লোবাল সিনেমা রাতারাতি চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। দর্শককে বোকা ভাবা ঠিক হবে না। আপনি যেটা দেবেন, সেটাই তাঁরা গ্রহণ করবেন, এমনটা এখন চলবে না। নানা ধরনের কনটেন্ট তৈরি হোক, দর্শকই বেছে নেবেন কোনগুলো তাঁরা দেখবেন। তবে আমার মনে হয়, এখন তারুণ্যনির্ভর সিনেমা বেশি হওয়া উচিত।
স্বস্তিকা: আমারও তাই মনে হয়। আমার মেয়ের জেনারেশন বাংলা সিনেমা একেবারেই দেখে না। আমার সিনেমাগুলো সে দেখে, সেখানে আমি আছি বলে।

আপনারা দুজনই তো কুকুরপ্রেমী?
জয়া: আমার মনে হয়, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় মিলের জায়গা। অন্য প্রাণীকে রক্ষা করা মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। কারণ, তারাও সমানভাবে আমাদের ইকো-সিস্টেমের অংশ।
স্বস্তিকা: আমরা আমাদের কষ্ট বলে বোঝাতে পারি, ওরা পারে না। এ কারণে ওদের প্রতি আরও মায়া হয়।

আপনারা দুজনই সিঙ্গেল। কেমন যাচ্ছে জীবন?
স্বস্তিকা: খুবই বোরিং।
জয়া: চারপাশে যে অবস্থা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে, সিঙ্গেলই ভালো আছি। কখনো কখনো মনে হয়, কারও সঙ্গে বসে চা খাই, গল্প করি। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সেটা পুষিয়ে যায়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন