পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় ট্রেন দেখে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুগল। গত রোববার উপজেলার কালিকাপুর রেলসেতুতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শামীম হোসেন (২২) ও তাঁর বান্ধবী এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত শামীম হোসেন উপজেলার পুঁইজোর সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও নরসিংদী জেলা কারাগারে কারারক্ষী। তিনি পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার শামীম হোসেন ও তাঁর বান্ধবী কালিকাপুর রেলসেতুর ওপর বসে গল্পে মগ্ন ছিলেন। রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আশা রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতুর ওপর চলে এলে দিশেহারা হয়ে সেতু থেকে তাঁরা চন্দনা নদীতে লাফ দেন। নদীতে পানি না থাকায় তাঁরা গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শামীম হোসেনের মা নূরজাহান বেগম বলেন, তাঁর ছেলে নরসিংদী জেলা কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত। গত ৪ / ৫ দিন আগে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি এসেছেন। রোববার বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৮টায় জানতে পারেন তাঁর ছেলে একটি মেয়ের সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে জানতে পারেন, মেয়েটির সঙ্গে তাঁর ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আহত মেয়ের পরিবার জানায়, রোববার বেলা ২টার দিকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ পান, মেয়েটি শামীম হোসেন নামের একটি ছেলের সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় পাংশা হাসপাতালে ভর্তি। পরে জানতে পারেন, ছেলেটির সঙ্গে তাদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।