হোম > ছাপা সংস্করণ

স্থবির পিএসসি

সম্পাদকীয়

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের অনেক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বা পিএসসির চেয়ারম্যানকে এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। তিনিসহ এ প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের লোকজন বদলি বা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন। ভয়-শঙ্কায় অধিকাংশ কর্মকর্তা অফিস করছেন না। ফলে পুরো প্রতিষ্ঠানের কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

পিএসসিতে সৃষ্ট এমন অচলাবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থী। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

রাষ্ট্র অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান নিয়ে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে তার প্রভাব অন্যগুলোতে পড়ে। কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো পিএসসি। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর কাজ হলো সরকারি চাকরিতে নিয়োগসংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা। এর বাইরে তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পদোন্নতির পরীক্ষাগুলোও নিয়ে থাকে।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে পিএসসি। কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে বিসিএসসহ নিয়োগ পরীক্ষাগুলো স্থগিত করতে শুরু করে পিএসসি। ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। সেটা স্থগিত করা হয়। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেও খাতা মূল্যায়নসহ অন্যান্য কাজ থমকে আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা, চাকরিরতদের বিভাগীয় পদোন্নতির পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করেছে পিএসসি।

এমনিতেই দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। সময়মতো চাকরির পরীক্ষা গ্রহণ না করা হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন এই তরুণ বেকাররা। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ এক সাক্ষাৎকারের বলেছেন, ‘দেশের বড় সমস্যা হলো বেকার সমস্যা। আর জনসংখ্যার যে বিন্যাস, সেখানে তরুণদের অনুপাত সবচেয়ে বেশি। তরুণ তাঁর ভবিষ্যৎ কী দেখছেন? দেশে অনেক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু সেই প্রবৃদ্ধি কোনো কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি; বরং এমন সব কাজের মধ্য দিয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, যেগুলো কর্মসংস্থান নষ্ট করে। দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে প্রায় চার লাখ পদ খালি আছে। এর আগের সরকার সেগুলো পূরণ করেনি। কর্মসংস্থান যতটা হচ্ছিল তা নিয়োগ-বাণিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠের আওতার বাইরেই থেকে যায়।’

বেকার সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত বিসিএস ও নন-ক্যাডার পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির অজুহাতে পিএসসি যদি তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে রাখে, তাহলে তার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।

বিগত সরকারের সময় অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। পিএসসিও এর বাইরে নয়। সে জন্য এগুলোকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোসহ জবাবদিহির আওতায় আনা এ সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।

পিএসসি কেন স্থগিত পরীক্ষাগুলো দ্রুত শুরু করবে না—সে বিষয়ে জবাবদিহি বর্তমান সরকারকেই করতে হবে। নতুবা বেকার তরুণরা আবার যে আন্দোলন করবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা কি আছে?

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন