ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর সীমান্তে কোলঘেঁষা একটি উপজেলা ধামইরহাট। এ উপজেলার সদর থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার উত্তরে গেলেই দেখা মিলবে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা শালবনেঘেরা আলতাদিঘি। নওগাঁর পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম আলতাদিঘি জাতীয় উদ্যান। এ দিঘির পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে গহিন শালবন আর উত্তরে তারকাটাঘেরা ভারতীয় সীমান্ত। সেখানেই কুয়াশা ঢাকা ভোরে বসছে পরিযায়ী পাখির মেলা। তাদের কলতানে মুখর হচ্ছে পুরো এলাকা। শীতের আমেজ শুরু হতেই এখানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসতে শুরু করেছে এসব পাখি।
সরেজমিনে আলতাদিঘি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দিঘিজুড়ে বসেছে শত শত পরিযায়ী পাখির মেলা। এসব পাখির মধ্যে রাজসরালি, পাতি সরালি, বালি হাঁস, রাজহাঁস, মান্দারিন হাঁস, গোলাপি রাজহাঁস, ঝুঁটি হাঁস, চীনা হাঁস, কালো হাঁস, লাল শির, নীল শির, মানিক জোড়া, জলপিপি, ডুবুরি পাখি, হরিয়াল পাখি, রামঘুঘু, কাদাচোখা ও বিভিন্ন প্রজাতির গাঙচিল অন্যতম।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেমন্তে শীতের আমেজ শুরু হতেই পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করে। শীতের শেষ, অর্থাৎ মাঘ মাস পর্যন্ত চলে এই আসর। পাখিগুলো দেখতে অনেকেই শীত মৌসুমে আলতাদিঘি এলাকায় বেড়াতে যান।
আলতাদিঘি জাতীয় উদ্যান-সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিযায়ী পাখি দেখতে শীত মৌসুমে এখানে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা বাড়ে।