আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল আসার আগেই নগরীতে জলজটের কারণে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এদিকে, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে, দুই দিনের ব্যবধানে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বাজার আবারও পানিতে থইথই করছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সিলেট: বর্ষাকাল আসার আগেই নগরীতে জলজটের কারণে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। সড়ক ও নালা ডুবে কিছু এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর বঙ্গবীর রোড, হাওয়া পাড়া, লামাবাজার, শিবগঞ্জ, সোনাপাড়া, শাহজালাল উপশহর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, কাজলশাহ, লালাদীঘির পাড়, আখালিয়া বড়বাড়ি, আম্বরখানা, লণ্ডনীরোড এলাকায় টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর লালাদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা শিনা বেগম বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাতের বৃষ্টিতে হঠাৎ ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করে। ভয়ে সারা রাত ঘুমাইনি।’ নগরীর আম্বরখানার বাসিন্দা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘কোটি টাকা খরচ করে নগরীতে উন্নয়নকাজ করা হয়। কিন্তু প্রতি বছরই বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগেই আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’ এদিকে পানি বেড়েছে নগরীর বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর। নদীসংলগ্ন মেন্দিবাগ, কুশিঘাট, তোপখানা, কালীঘাট, শেখঘাট এলাকায় দেখা গেছে, নদী পানিতে টইটুম্বুর। পানি আরও বাড়লে ওই এলাকাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি প্রবেশ করবে।
গোয়াইনঘাট: গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কৃষকের পাঁচ শতাধিক হেক্টর জমির বোরো ধান। আর আউশ বীজ তলিয়ে গেছে ২১ হেক্টরের মতো। গত চার দিন ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, খেতের জমি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কোনো কোনো এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে এবং তলিয়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি মানুষের বসতবাড়িসহ কয়েকটি হাট বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ: প্রবল বর্ষণে দুই দিনের ব্যবধানে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বাজার আবারও প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাজারটি প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। জানা গেছে, উপজেলার প্রাচীন এ বাজারে রয়েছে ১৫ শতাধিক দোকান। গতকাল শনিবার ভোরে প্রায় ৯০ শতাংশ দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঢাকাদক্ষিণ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। খরস্রোতা কাকেশ্বরী নদী ভরাট ও দখলে নাব্য হারিয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছে।