হোম > ছাপা সংস্করণ

নালা নির্মাণে এত অনিয়ম

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের সৈয়দ বায়তুল্লাহ নগর এলাকায় নালা নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতির নির্মাণকাজের জন্য তাঁদের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। সঠিক মান রেখে তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের সৈয়দ বায়তুল্লাহ নগরের তালহা মিল্কের মোড় থেকে পাংশা সাবরেজিস্ট্রার অফিস-সংলগ্ন নাদেরের বাড়ি পর্যন্ত নালাটির নির্মাণকাজ চলছে। প্রায় এক বছর আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ধীরগতিতে কাজ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। ড্রেন নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি কাজটি বন্ধ রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে নালাটি নির্মাণকাজের সঠিক মান রেখে তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে কাজটি করার জন্য পাঁয়তারা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। নালা নির্মাণকাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা মিস্ত্রি। আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলে, সেইভাবে করি।’

পান্না নামের আরেক মিস্ত্রি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, এই কাজে ৬ ইঞ্চি পর পর রড দেওয়ার কথা। কিন্তু রড দেওয়া হয়েছে ৭-৮ ইঞ্চি পর পর। ৮ ইঞ্চি মোটা করে ঢালাই দেওয়ার কথা, সেখানে পরিমাপের চেয়েও কম ঢালাই দেওয়া হয়েছে। নালার উচ্চতার পরিমাপও নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে কম দেওয়া হয়েছে। যতটুকু নির্মাণকাজ করা হয়েছে, এভাবেই করা হয়েছে। আমরাই করেছি।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কনট্রাক্টর মো. ফরিদুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘কাজটি আবুল কাশেম সারোয়ারের কাছ থেকে আমি কিনে নিয়েছি। ২০১৮ সালে কাজটির দরপত্র হয়। তখন মালামালের দাম কম ছিল। অনিয়মের মধ্যে কাজ না করলে আমরা বেঁচে থাকতে পারব না।’ অনিয়মের পৌর প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি প্রকৌশলীকে অবগত করিনি।’

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ২১ আগস্ট এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজটির অনিয়মের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। বর্তমানে কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম, কত টাকা বরাদ্দ, কাজের পরিমাণ, দরপত্রের তারিখ, নির্মাণকাজের শেষ তারিখসহ কয়েকটি তথ্য চাইলে তিনি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর কাছ থেকে নিতে বলেন।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহবুদ্দিন এসব তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কোনো তথ্য দিতে পারব না। পৌর মেয়রের নিষেধ রয়েছে।’ 
পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল বলেন, ‘আমি প্রকৌশলীকে তথ্য দিতে নিষেধ করিনি। এটা অফিশিয়াল বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলিনি।’ 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন