হোম > ছাপা সংস্করণ

সিলেটের গোয়াইনঘাট : পর্যটন এলাকায় স্বপ্ন এবার তরমুজ চাষে

মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট (সিলেট)

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। হাওর ও পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই উপজেলায় প্রতিবছর বাড়ছে রসালো ফল তরমুজের চাষ।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওর ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকেরা রবিশস্যের পাশাপাশি ফরাস, মিষ্টিকুমড়া, শিম, শসার পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। এতে হাসি ফুটেছে তরমুজচাষিদের মুখে। উপজেলার সব কটি হাওরেই এবার কম-বেশি তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়। গত বছর যা ছিল ১৪৫ হেক্টর। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ হেক্টর বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে। 

পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের আটলীহাই, খাস হাওর সোনাপুর, পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা-তিতকুল্লী, বালি হাওর, মধ্য জাফলং ইউনিয়নের ভিত্রিখেল হাওর, বাউরভাগ হাওর, আলমনগর, পশ্চিম জাফলংয়ের ঢালারপার, পান্তুমাই, তারুখাল, আহারকান্দি, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাওন হাওরসহ বিভিন্ন স্থানে রবিশস্যের পাশাপাশি লাভজনক ফসল তরমুজ চাষাবাদ হয়। আগাম রোপণ এবং রোগবালাই কম হওয়ায় প্রতিটি এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজের। উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাভজনক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করায় কৃষকেরাও তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। 

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকান বা খোলা স্থানে স্তূপ করে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ৫০ থেকে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে। 
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে বাগান কিনে নিয়ে সেখান থেকে প্রতিদিন বাছাই করে বিক্রির চাহিদা অনুযায়ী তরমুজ এনে বাজারে বিক্রি করছেন। 

কৃষক হেলাল উদ্দিন ও ফখরুল ইসলাম জানান, তাঁরা দুই ভাই মিলে সাড়ে ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত চার লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। অবশিষ্ট তরমুজ থেকেও ভালো টাকা লাভ হবে বলে আশাবাদী এই দুই কৃষক। 

হুদপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ও মোস্তাক আহমদ জানান, তাঁরা দুজনে মিলে ছয় বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত  প্রায় সাত লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হান পারভেজ রনি বলেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। এ বছর উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর যা ছিল ১৪৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় ব্যাপক হারে তরমুজ চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

রায়হান পারভেজ রনি আরও বলেন, উপজেলার তরমুজচাষিরা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে আগাম তরমুজ বিক্রির কাজ শেষ করতে পারায় তাঁরা ভালো দাম পেয়েছেন। এ জন্য উপজেলা কৃষকেরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এবং প্রতিবছর তরমুজের আবাদ বাড়ছে

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন