রাজু আজম, লক্ষ্মীছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে শোভা পাচ্ছে ধান। পাহাড়ি এলাকায় জুম ধান ব্যতীত অন্য ধানের আবাদ খুব একটা দেখা যায় না। তবে উপজেলার পাহাড়ের পাদদেশে সরু সমতল জায়গায় ধানের চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
লক্ষ্মীছড়ি কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উফশী জাতের ধান ব্রি ৫১, ৫২, ৪৯ এর পাশাপাশি স্থানীয় জাতের পাইজাম, কালোজিরা, অগ্নি, বিন্নি ও রাঙ্গামনি প্রভৃতি জাতের চাষ লক্ষ্মীছড়িতে হয়ে থাকে। বিশেষ করে লক্ষ্মীছড়ির মেজরপাড়া, মংহলাপাড়া, দেওয়ানপাড়া, মাস্টারপাড়া এলাকায় ধানের চাষ বেশি হয়ে থাকে।
সরেজমিনে উপজেলার দূল্যাতলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্রি ৭৫, পাইজাম, রাঙ্গামনি প্রভৃতি জাতের ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া কিছু জাতের ধান ইতিমধ্যেই কাটার উপযোগী হয়েছে।
মাস্টারপাড়া এলাকার কৃষক কংকরী মারমা জানান, ‘এবার আমি প্রায় ৪ একর জমিতে ব্রি ৫১ ও ৩৯ জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও যথেষ্ট ভালো হয়েছে, নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করতে পারব।’
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার প্রায় ২ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। উফশী জাতের ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ২ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবারও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে বলেও আশা করা হচ্ছে। গতবার প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন ধান সরকারি খাদ্য গুদামে সরবরাহ করেছে লক্ষ্মীছড়ি কৃষি অধিদপ্তর। এ ছাড়া এবারের আমন মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। এবার কৃষি অফিস থেকে মোট ৪০০ জন কৃষককে ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকও সরবরাহ করা হয়েছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হুসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে তত্ত্বাবধানে ধানের আবাদ এ বছর রোগ বালাই মুক্ত ছিল। পোকামাকড়ের কোনো আক্রমণও হয়নি। সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার আমনের মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পেয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।