আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের উত্তরাঞ্চলে চলমান শৈত্যপ্রবাহ মৃদু অবস্থা থেকে বেড়ে মাঝারি আকার ধারণ করেছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অনেকেই সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না।
গতকাল নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দু-এক দিন বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সুবল চন্দ্র রায়।
ডিমলার কিসামত চরের আব্দুল কাদের বলেন, ‘হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করতে পারছি না। আয়-রোজগার না হওয়ায় ধার করে সংসার চালাচ্ছি। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।’
নীলফামারীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ।
দিনাজপুরেও শীতের প্রকোপে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন সাড়ে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীতের কারণে রাস্তাঘাট এবং বাজারে লোকজনের আনাগোনা অনেকটাই কমে গেছে। দুপুরের পর কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে।
শহরের রামনগর এলাকার ভ্যানচালক সম্ভু মিয়া বলেন, ‘গত বছরের থাকি এইবার শীত অনেক বেশি। শীতের কারণে কাজ-কামও কমি গেইছে। ভাড়াও অনেক কম। একে তো ঠান্ডা, তার ওপর কামাইও নাই। খুব কষ্ট করি চলিবা নাগেছে।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, যদিও গত কয়েক দিনে তীব্র শীত জনজীবনকে কাবু করে ফেলেছে, কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই কিছু সময় ধরে রোদের দেখা পাওয়ায় কৃষিতে তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বোরোর বীজতলা তৈরিতেও তেমন কোনো ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় আগামী কয়েক দিনে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে।