চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মূল ফটকে তালা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা কমিটি থেকে বিতর্কিত, বিবাহিত, নিষ্ক্রিয় ও অছাত্রদের বাদ দেওয়া এবং সিনিয়র-জুনিয়র ক্রম ঠিক করারও দাবি জানান। তাঁরা দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছয়টি পক্ষের নেতা-কর্মী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধ ও আশ্বাসের কথা বলে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মূল ফটক খুলে দেন তাঁরা। আন্দোলনরত পক্ষগুলো হলো ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ভিএক্স পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, সদ্য ঘোষিত চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দীর্ঘদিনের পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাদের রাখা হয়নি। পাশাপাশি কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র ক্রম ঠিক রাখা হয়নি। তাই আমরা কমিটি বর্ধিত করে তাঁদের পদায়ন করে কমিটি থেকে বিতর্কিত, বিবাহিত, নিষ্ক্রিয় ও অছাত্রদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি।
প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানায় আমরা বিক্ষোভ ও মূল ফটকে তালা দিয়েছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে ও প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা তালা খুলে দিয়েছি। আমাদের দাবি শিগগিরই না মানলে আমরা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেব।
সাংগঠনিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা কেন–জানতে চাইলে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, বাংলাদেশে কোনো দাবি আদায় করতে হলে কোথাও না কোথাও অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দিতে হয়। আমরা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এবং এখানে রাজনীতি করি, তাই দাবিগুলো এখান থেকেই জানাতে হয়।
কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবির বিষয়ে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, আমাদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রে গিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখা করে দাবি জানাবে। এর আগে একই দাবিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে মানববন্ধন করেন তাঁরা।