হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হঠাৎ গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। বৃষ্টির কারণে খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা খড়ে পচন ধরায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। অপর দিকে, বাজারে দানাদার খাদ্যের মূল্য আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষক ও খামারিরা বাধ্য হয়েই পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
খামারিরা জানিয়েছেন, গো-খাদ্যের দাম না কমলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি বস্তা গমের ভুসি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ভুট্টার গুঁড়া ১৫০০ টাকা, ধানেরকুড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, খইল ৩২০০ টাকা ও কাঁচা ঘাস প্রতি মুঠা ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে, গ্রামাঞ্চলে ধানের খড় প্রতি মণ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার ধুলজুরী গ্রামের খামারি আবদুল মালেক জানান, গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় তড়িঘড়ি করে নিজের জমিতে উন্নতমানের ঘাস চাষ করেছেন।
পৌর এলাকার ঢেকিয়া গ্রামের চাষি সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এখন এমন অবস্থা যে মানুষের খাবার জোগাড় করব না গরুর খাবার। সরকারি সহায়তা পেলে আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম।’
হোসেনপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মান্নান জানান, বাজারে দানাদার খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গো-খাদ্যের জন্য ঘাস চাষে খামার মালিক ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।