শ্রীপুর প্রতিনিধি
শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ফাউগান গ্রামের জলেশ্বরী রিসোর্টে অসামাজিক কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও ব্যবসা বলে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ওই গ্রামের ভুক্তভোগীরা একাধিকবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের বক্তৃতা পর্বে প্রহলাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আকন জানান, ঢাকার এক ব্যবসায়ী নাকিবুল ইসলাম দিপু স্থানীয়দের কাছ থেকে একটি কোম্পানি নির্মাণ করার কথা বলে জায়গা কিনে নেন।
পরে কোনো কোম্পানি না করে গড়ে ২০১৭ সালে জলেশ্বরী রিসোর্ট গড়ে তোলেন। বর্তমানে এই রিসোর্টটিতে অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নিয়মিত হয় মাদক ব্যবসা। এ বিষয়ে গ্রামবাসীর করা লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে এর সত্যতাও পেয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।
গ্রামের ভুক্তভোগী আমান উল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘জলেশ্বরী রিসোর্টের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে।’
তিনি আরও জানান, ফাউগান গ্রামের অনেকেই জলেশ্বরী রিসোর্টের মালিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এ জন্য বর্তমানে ভয়ে কেউ তাদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
জলেশ্বরী রিসোর্টের মালিক নাকিবুল ইসলাম দিপু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার রিসোর্টের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তুলেছে তা সঠিক নয়। আপনি সাক্ষাতে দেখা করলে বিস্তারিত বলব। ফোনে সব কথা বলা ঠিক হবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামছুল আলম প্রধান, পৌর মেয়র মো. আনিছুর রহমান, শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া, তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার, রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, কাওরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুল হক আজিজ, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা ও শ্রীপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদকর্মীরা।