হোম > ছাপা সংস্করণ

জয়-পরাজয়ে ‘ফ্যাক্টর’ বিএনপি

সিলেট প্রতিনিধি

নানা শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে সিলেটের পাঁচ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন।

এর মধ্যে ওসমানীনগর উপজেলার আটটি, দক্ষিণ সুরমার দুটি, বিশ্বনাথের দুটি, গোয়াইনঘাটের দুটি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি ইউপিতে হবে ভোট উৎসব। এবারই প্রথম সব কটি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে ভোট।

বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে চেয়ারম্যান পদে অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল নেতারাও ভোটের মাঠে রয়েছেন। ফলে জয় পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন বিএনপির এসব নেতা বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

ভোটারদের মধ্যে শঙ্কার মূল কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ১৫ ইউপিতে ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার প্রার্থীরা। মূলত তাঁদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তারের কারণে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা প্রকাশ করছেন ভোটারেরা। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।

ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর, সাদীপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গা, গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর ও উসমানপুর ইউপিতে ভোট হচ্ছে। সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ও কামালবাজার ইউপি এবং বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চি ইউপিতে হবে ভোট।

গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর (পশ্চিম) ইউপিতে হচ্ছে ভোটের লড়াই।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঁচ উপজেলার ১৫০টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬২ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮২ জন। আর পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৮০ জন। এই প্রথম ইউপি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন ভোটারেরা। তাই ভোট নিয়েও ভোটারদের মনে উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।

ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ভোটার আহমদ আলী বলেন, ‘চতুর্থ ধাপে গোলাপগঞ্জে সহিংসতা হয়েছে। গুলিতে একজন মারা গেছেন। তবে পঞ্চম ধাপে কোনো সহিংসতা হয়নি। ভোটের মাঠে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের সবার প্রভাব রয়েছে। তাই কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে আমাদের চাওয়া শান্তিপূর্ণ ভোট।’

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে ১০ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাতজন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তিনজন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ভোটের দিন কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। আশা করছি, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে।’

সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মোহাম্মদ মিঞা বলেন, ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট উৎসবমুখর করতে নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন