সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে টানা পাঁচ দিন যমুনার পানি বাড়ার পর কমতে শুরু করেছে। এ দফা পানি বাড়ার কারণে বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। কয়েক স্থানে দেখা দেয় ভাঙন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শিগগির নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাবে। বর্তমানে পানি আর বাড়ার আশঙ্কা নেই।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ ছাড়া কাজীপুর পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৮২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার পানি কমেবিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে গত জুন মাসের শুরু থেকে প্রথম দফায় যমুনায় পানি বাড়তে থাকে। ১৮ জুন জেলার কাজীপুর ও শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি। ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ২৯ জুন থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। টানা পাঁচ দিন বাড়ার পর গত সোমবার ফের কমতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। শিগগির নিম্ন এলাকা থেকে নেমে যাবে পানি। বর্তমানে পানি আর বাড়ার শঙ্কা নেই। ভাঙন এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।