চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরে এক দিনে ১৫ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন একটি আদালত। এর মধ্যে দুটি মামলায় দুজনকে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩ মামলায় ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস গত সোমবার এ আদেশ দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ভীমসেন দাস।
জানা গেছে, যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ দিন ফেনসিডিল চোরাচালানের একটি মামলায় তিন ব্যক্তির ১২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের আব্দুল হালিম, পুটখালী গ্রামের রমজান ও কলেজপাড়ার কওসার আলী। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৭ জুন বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ জানতে পারে, কলেজপাড়া এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ী মাদক চোরাচালানের জন্য অবস্থান করছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পুলিশ তাঁদের আটক করে।
আটকের পর হালিমের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে ৪০ বোতল, রমজানের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ১০ বোতল ও কওসারের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে আরও ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বেনাপোল বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর শরীফ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার তিন আসামিকে পৃথক মেয়াদে সাজা দেন বিচারক।
আসামিদের মধ্যে হালিম ও কওসারের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অপর আসামি রমজানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র আরও জানায়, সোমবার একই আদালত সব মিলিয়ে ১৫টি মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে দুটি মামলায় দুজনের প্রত্যেকের এক বছর করে সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি ১১ মামলায় ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। তাঁরা সবাই পলাতক রয়েছেন। অপর দুই মামলায় উপস্থিত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।