নিজস্ব প্রতিবেদক ও আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে করা পিবিআইয়ের আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। গতকাল রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুরাদ এ মাওলা সোহেলের আদালতে শুনানির কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ থাকায় তা হয়নি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, জজ সাহেব অসুস্থ ছিলেন। যে কারণে তিনি শুনানি করতে পারেননি। নতুন তারিখের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
পিবিআই বলেছে, তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ও মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে বাবুল-মিতু দম্পতির দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। এ জন্য তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
গত বছর জুনে পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই দম্পতির সন্তানদের শিশু আইনে জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা চৌধুরী তাঁদের জেলা সমাজকল্যাণ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। তবে পরবর্তীতে পিবিআই থেকে বিষয়টির আর অগ্রগতি হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা ওই আবেদনটি করেছিলেন। তখন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। বর্তমানে যে আবেদন করা হয়েছে, তা বাবুল আক্তারের করা মামলায়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর জিইসি মোড়ে মিতু খুন হন। তিনি বড় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসির মোড় যাচ্ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে হত্যা করেন। পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল ছেলেটি।
এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গত বছর ১২ মে আদালতে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
একই দিন বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মিতু হত্যার অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ১৭ মে থেকে কারাগারে বাবুল। বর্তমানে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।