সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ অথবা ৩ মে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হবে। সে লক্ষ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর রং করার কাজ।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত হয়নি। গত চারটি ঈদেই শাহী ঈদগাহ ছিল সুনসান নীরব। তবে এবার নতুন পোশাক পরে, জায়নামাজ হাতে ঈদগাহে ছুটবেন মুসল্লিরা।
ইতিমধ্যে জামাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরের শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক বলেন, ঈদগাহের আশপাশের সব ময়লা আবর্জনা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়ে গেছে। গেটগুলোতে রং করা হচ্ছে, আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
শাহী ঈদগাহ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ জামাত আয়োজন হয়নি। এবার ঈদ জামাত আয়োজন হওয়ায় খুশি তাঁরা।
এদিকে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে ময়দান পুরোদমে জামাতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ঈদের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল, শাহী ঈদগাহ কমিটি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ঈদের জামাত আদায়ের লক্ষ্যে চলমান উন্নয়নকাজের খোঁজ-খবর নেন। পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য মহামারির কারণে গত দুই ঈদুল ফিতরের নামাজ শাহী ঈদগায় আদায় করতে পারিনি। তাই নগরবাসীর মধ্যে এবার ঈদগাহে নামাজ আদায়ের উৎসাহ বেশি। আমরা জামাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেশি হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এবার ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন শেখবাড়ি জামিয়ার মুহতামিম, শায়খুল হাদিস মুফতি মোহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারক্ব বর্ণভী-পীর সাবেহ বরুনা।
সিটি করপোরেশনের কাউন্সিল রাশেদ আহমদ, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, শাহী ঈদগাহ কমিটির নেতা, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।