কয়েক দিন শুটিং বন্ধ ছিল। এখন স্বল্প পরিসরে আবার শুরু হয়েছে। আপনি কবে থেকে শুটিং শুরু করলেন?
দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কয়েক দিন শুটিং বন্ধ ছিল। কারফিউ শিথিলের পর আবার শুটিং করছি। ২৪ জুলাই মাইদুল রাকিবের নাটক দিয়ে শুটিংয়ে ফেরা হয়েছে। এতে আমার সহশিল্পী ছিলেন নিলয় আলমগীর। আজ (গতকাল) শুটিং করছি উত্তরায়। ‘মোরগ পোলাও’ নামের নাটকটি পরিচালনা করছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। এতেও আমার সহশিল্পী নিলয়। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন নিয়ে নাটকের কাহিনি। একটু সিরিয়াস গল্প। হাসির নাটকের পাশাপাশি অন্য ধরনের গল্পেও কাজ করার চেষ্টা করছি, যাতে মানুষের মনে না হয়, একই চরিত্র রিপিট করছি। আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি, প্রতিটি কাজে ভিন্নতা রাখার।
শুটিংয়ে কি স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরেছে?
শুটিং শুরু হলেও এখনো আগের অবস্থা ফিরে আসেনি। দেশের যে অবস্থা, তাতে শুটিংয়ের চেয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তাটাই বেশি। সব নিয়ম মেনে আমরা শুটিং করেছি। শুটিং হাউসের মধ্যে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তারপরও দুশ্চিন্তা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আতঙ্ক কাটবে না। এ রকম পরিস্থিতিতে কাজ করা অনেক কঠিন। সকাল সকাল সেটে চলে আসতে হচ্ছে। দিনের আলো থাকতেই শুটিং শেষ করার তাগিদ কাজ করছে সবার মধ্যে। রাত হয়ে গেলে রাস্তায় জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু কাজ না করলে সবাই অনেক ক্ষতির মুখে পড়বে। আগে থেকে শিডিউল দেওয়া ছিল। সময়মতো কাজ শেষ না করতে পারলে পরে শিডিউল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হবে। উদ্বেগ নিয়েই কাজ করছি।
পরিবারের সঙ্গেই পুরোটা সময় কেটেছে। সে সময় কোনো কাজ ছিল না। বই পড়েছি, পোষা বিড়াল ও পাখিদের দেখাশোনা করেছি, কাছের মানুষদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি, অনেক দিন পর রান্নাও করেছি। এত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করলেও মাথার মধ্যে সব সময় দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা ঘুরছিল। দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে, এত মানুষ মারা গেছে। সবার জন্য দোয়া করছিলাম। কী হচ্ছে, আগামী দিনে কী হবে—এসব নিয়ে খুব উদ্বেগে ছিলাম।
সামনে আর কী কী কাজ আছে?
মোরগ পোলাও নাটকের পর আরও একটি নাটকের শিডিউল দেওয়া আছে। এরপর শুটিং করতে থাইল্যান্ড যাব। সাজু মুনতাসিরের প্রযোজনায় থাইল্যান্ডের পাতায়ায় বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং হবে। কয়েকজন অভিনয়শিল্পী এরই মধ্যে সেখানে গেছেন। আমি আগামী ২ আগস্ট যাব। আমার পাঁচটি নাটকের শুটিং করার কথা আছে। নাটকগুলো পরিচালনা করবেন তিনজন পরিচালক। সহশিল্পী হিসেবে আছেন নিলয় আলমগীর ও ইরফান সাজ্জাদ।
গত বছর সিঙ্গাপুরে শুটিং করেছিলাম। দেশের বাইরে কাজ করলে চাপটা একটু বেশি থাকে। সেখানে যেহেতু ছোট টিম থাকে, তাই সুযোগ-সুবিধা অনেক কম থাকে। নিজের কাজ নিজে করতে হয়। তবে বিদেশে শুটিং করলে লোকেশনে বৈচিত্র্য পাওয়া যায়, গল্পে নতুনত্ব থাকে। দর্শকও দেখতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া শুটিংয়ের ফাঁকে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যায়। তাই ক্লান্তি লাগে না।