সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট বিভাগে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
প্রথমে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য বয়স শিথিল করা হয়েছে। তাই বুস্টার ডোজ নিতে আগ্রহ বাড়ছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে সিলেট মহানগর এলাকায় শুরু হয় করোনার টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে বিভাগের চার জেলায় শুরু হয় বুস্টার ডোজ দেওয়া। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধা ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত যে কেউ দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হলে বুস্টার ডোজ নিতে পারছেন।
বিভাগে বুস্টার ডোজ হিসেবে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার জন। এর মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ২ হাজার ২২৬ জন ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩৭ জন নিয়েছেন কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে ২০ জন নিয়েছে কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ।
হবিগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৯১৮ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৫ হাজার ৪৯৯ জন নিয়েছেন ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, শুধু মহানগর এবং জেলা শহরই নয়। বিভাগের প্রায় সব উপজেলায় করোনা টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হবে শিগগিরই। ইতিমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এসএমএস দেওয়া শুরু হয়েছে।