মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
‘সরিষার উৎপাদন বাড়লে ভোজ্যতেলের আমদানি কমবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৈল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়ক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম। গতকাল শনিবার মনিরামপুরে আমন, সরিষা ও বোরো ফসলের মতো বারি সরিষা-১৪ এর উৎপাদন বাড়াতে পালিত মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সবুজ পল্লি মহাবিদ্যালয় চত্বরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এ আয়োজন করে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর আওতায় এ দিবস পালিত হয়।
আলোচনার সভাপতিত্ব করেন খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওসার উদ্দিন আহম্মেদ, মনিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন শাহানাজ, যশোর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন আহম্মদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাবুল আনোয়ার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মমিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনসুর আলী প্রমুখ।
গতকাল দিনের শুরুতেই চাঁদপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান নামের এক কৃষকের বারি সরিষা-১৪ এর খেত পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
এতে প্রধান অতিথি বলেন, ‘ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর তেল আমদানিতে দেশের অর্থের বড় একটি অংশ বিদেশে পাঠাতে হয়। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ভোজ্য তেল আমদানি খরচের ১৫-২০ শতাংশ বাঁচাতে দেশে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় এ পর্যন্ত সরিষার ১৯টি জাত বের হয়েছে। তার মধ্যে বারি সরিষা-১৪ এর উৎপাদন কম সময়ে বেশি হওয়ায় এ সরিষা চাষ কৃষকদের জন্য অধিক লাভজনক। এ জন্য আমরা আমন ও বোরো চাষের মধ্যবর্তী সময়ে স্বল্প মেয়াদি (৮০-৮৫ দিনের) বারি সরিষা-১৪ উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’