সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের ঈদবাজার এখন বেজায় চাঙা। মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে দিন-রাত একাকার করে চলছে বেচাকেনা। বিশেষ করে নগরীর বিপণিবিতানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মানুষ। ছোট-বড় মার্কেট থেকে অভিজাত শপিংমলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে সড়কে নেই কোনো খালি জায়গা। সড়কে যানবাহন আর মানুষ সমানে সমান। দুপুর ১২টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার এলাকায় যেমন যানজট থাকে, তেমনি রাত ১২ টায়ও যানজট থাকে।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই বছর চারটি ঈদ কেটেছে নানা বিধিনিষেধের আওতায়। এই বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। এবার ঈদবাজারে কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় সানন্দে কেনাবেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সিলেটে রমজান মাসের মাঝামাঝি থেকেই জমে উঠতে শুরু করে ঈদবাজার। বিশেষ করে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, বারুতখানা, নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া এলাকার বিভিন্ন মার্কেট এবং বিপণিবিতানে ১০ রমজানের পর থেকেই ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে মাঝরাতে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। এই ঝড়কেও ক্রেতারা পাত্তা না দিয়ে করে যাচ্ছেন কেনাকাটা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে মানুষের ভিড় ততই বাড়ছে। গত বুধবার রাত পৌনে একটার দিকে মহানগরীর ওপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। এ সময়ও নগরীর বন্দরবাজারের হাসান মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটে, জিন্দাবাজারের প্রায় সব মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
নগরীর নয়াসড়কে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শারমিন ইমা বলেন, ‘রাত ৯টায় মার্কেটে এসেছিলাম। এখন রাত ১২ টা, কিন্তু এখনো শেষ করতে পারিনি কেনাকাটা। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করছি। তাই দেরি হচ্ছে।’
নগরীর হাসন মার্কেটে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর ঈদ মার্কেটে আসতে পারেনি ছেলে-মেয়েরা। তাই এবার সবাইকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি। সবাই নিজের পছন্দমতো কেনাকাটা করছে। পাশাপাশি অনেক আনন্দও করছে।’
নগরীর জিন্দাবাজারে আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী রাহেল আহমেদ বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দিন-রাত সমানতালে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।
মাহা ফ্যাশন হাউসের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদির বলেন, ‘বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা আসছেন। আমরা ক্রেতাদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। নতুন ট্রেন্ডি পোশাকসহ বাহারি পণ্য আমরা ক্রেতাদের সরবরাহ করছি। গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছি ক্রেতাদের সুবিধার্থে।’