সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে হঠাৎ করে বেড়ে যায় মুরগির দাম। সে দামের ঊর্ধ্বগতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। অন্যদিকে, গরুর মাংসের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল অস্বস্তি। তা এখনো কমেনি।
গতকাল সোমবার নগরীর আম্বরখানা, লালবাজার, মদিনা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরো বাজারে সাদা ব্রয়লার মোরগের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। লাল মোরগ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮০ টাকা। কক এবং সোনালি মোরগের ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের কক মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর কোয়েল পাখি আকার অনুপাতে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৩০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে নগরীর মদিনা মার্কেটের সজিবুর পোলট্রি শপের স্বত্বাধিকারী মো. সজিবুর বলেন, ‘ঈদের আগে থেকেই চাহিদা মতো মুরগির জোগান দিচ্ছেন না পাইকাররা। মুরগির উৎপাদন কম বলে পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন। খুচরা ব্যবসায়ী পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনায় বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’
এদিকে, গরুর মাংসের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল অস্বস্তি। তা এখনো কমেনি। তবে এ মাসের মধ্যেই বৈঠক করে গরুর মাংসের দাম কমাতে পারে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
পবিত্র রমজান মাসের আগে আন্দোলন করে নগরীর মাংস ব্যবসায়ীরা গরু ও ছাগলের মাংসের দাম বাড়িয়ে নেন। রমজানে সিসিক নির্ধারিত প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬৫০ ও ছাগলের মাংস ৮৫০ টাকায়। তবে এ দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। তাই জনসাধারণের কথা বিবেচনায় আবারও নগরীতে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমাতে পারে বলে জানিয়েছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সিসিক) ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাহে রমজানের কথা বিবেচনায় মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি রাখতে গিয়ে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছিল। তবে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে বাড়ানো দাম কমানো হতে পারে। মেয়র মহোদয় এখন দেশের বাইরে। তিনি ফিরে এলেই এ মাসের মধ্যে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।