হোম > ছাপা সংস্করণ

উন্নয়নের আড়ালে চিথলীয়া

মো. জাহিদুল ইসলাম, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

স্বাধীনতার পর লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। নেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেই কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক। শুকনো মৌসুমে পা এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকাই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এমনই একটি গ্রাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলীয়া। এই গ্রামটিতে নয় শতাধিক মানুষের বসবাস।

চিথলীয়া গ্রামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার বাইরে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে গ্রামটির শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন। কেউ অসুস্থ হলে শুকনো মৌসুমে কাঁধে করে এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকায় হাসপাতালে নিতে হয়।

চিথলীয়া গ্রামের বৃদ্ধ সুকান্ত বাড়ৈ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এমপি (সাংসদ)। তাঁর সুবাদে কোটালীপাড়ায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের গ্রামে এখনো কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নাই একটি স্কুল, নাই কোনো স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।’

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিল্পী বাড়ৈ বলেন, তাঁদের গ্রামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার হার কম। যারা লেখাপড়া করে, তারা সবাই গ্রামের বাইরে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বা হোস্টেলে থাকে।

শিল্পী বাড়ৈ আরও বলেন, শিক্ষার হার কম থাকার কারণে এই গ্রামে বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গ্রামটি দুর্গম হওয়ায় অনেকেই অনেক সময় আইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

চিথলীয়া গ্রামের ইতালিপ্রবাসী স্বর্ণা লতা হালদার বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে ইতালি থাকেন। রাস্তাঘাট না থাকায় তাঁর স্বামী ও সন্তানেরা দেশে আসতে চায় না। দ্রুত এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের দাবি জানান এই প্রবাসী।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী হিরা বাড়ৈ বলে, ‘আমাদের গ্রামে কোনো স্কুল না থাকার কারণে আমি আমার মামাবাড়ি থেকে লেখাপড়া করি। ওখানে আমার ভালো লাগে না। আমি আমার মা-বাবার কাছে থেকে লেখাপড়া করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের গ্রামে একটি স্কুল করে দেন।’

বিধান বাড়ৈ বলেন, দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের পৈতৃক ভিটা তাঁদের গ্রামে। এই গ্রামে অনেক গুণী ব্যক্তির জন্ম হয়েছে। তাঁরা সবাই অনেক কষ্টে বিভিন্ন এলাকায় থেকে লেখাপড়া শিখেছেন। তারপরেও তাঁদের এই গ্রামটি উন্নয়নবঞ্চিত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাঁর দাবি, তাঁদের গ্রামে যেন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়।

কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে কলাবাড়ি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চিথলীয়া গ্রামটি তাঁর ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত। দুই বছর আগে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা করা হয়েছিল। বন্যা ও ভারী বর্ষণে রাস্তাটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারসহ গ্রামটিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চেষ্টা করবেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন