ড. মো. শাহজাহান কবীর
ইসলাম মানুষকে বিপদ-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ইসলাম ধর্মে যে পরিমাণ মানবসেবা এবং পরোপকারের দৃষ্টান্ত রয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে তা নেই—এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। মানবসেবা এবং উদারতার নীতি অবলম্বন করেই দ্রুতগতিতে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে বিস্তার লাভ করেছে ইসলাম।
মহানবী (সা.) সারা জীবন মানুষের উপকার, সেবা ও কল্যাণে কাজ করেছেন। অর্থ বিলিয়েছেন উদার হাতে। ক্ষুধার্তকে অন্ন দিয়েছেন, রোগীর সেবা করেছেন, দাসদের মুক্তি দিয়েছেন। যেখানেই কোনো মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছে, যেখানেই মানবতা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে—সেখানেই তিনি উপস্থিত হয়েছেন এবং সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রত্যেক সাহাবি ছিলেন মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ইসলাম গ্রহণ করার আগে মক্কার সেরা ধনী ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি অসহায় ও দুস্থদের দান করে দেন।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি হালাল উপার্জন থেকে দান করে, আল্লাহ তাআলা সে দান নিজে গ্রহণ করেন। সেটিকে উত্তমরূপে সংরক্ষণ করেন। একসময় সেই দানের সওয়াব পাহাড়তুল্য হয়ে যায়।’ মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘দান-সদকা মানুষের অকল্যাণ বা অমঙ্গল দূর করে।’ অন্যত্র তিনি বলেন, ‘একটি খেজুরের অর্ধাংশ দিয়ে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। আর যদি তা-ও সম্ভব না হয় তাহলে গরিব-অভাবী লোকদের সঙ্গে মিষ্টি ভাষায় কথা বলো, ভালো ব্যবহার করো; যাতে পরকালে তোমার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি