নিজস্ব প্রতিবেক, ঢাকা
পড়াশোনা করতে করতে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে যাও, তাই না? টেবিলে বই খোলা রেখে তোমার নিশ্চয় কল্পনায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে সবকিছু ফেলে যদি অজানা কোথাও হারিয়ে যাওয়া যেত! যদি জঙ্গলে চলে যাওয়া যেত! যদি ট্রাক বা গাড়ির ড্রাইভার হওয়া যেত! বাড়ি থেকে পালিয়ে যদি দূরে কোথাও হারিয়ে যাওয়া যেত! তাহলে পড়াশোনা করতে হতো না। গাদাগাদা বইয়ের বোঝা বইতে হতো না।
এমন অনেক কল্পনা মাথায় ঘুরে বেড়ায়। তেমনই এক গল্প নিয়ে একটি বই আছে। বইটির নাম ‘ফটিকচাঁদ’।
বইটির মূল চরিত্র ফটিকচাঁদ ঘটনার এক চক্রে হারিয়ে গিয়েছিল। মাথায় আঘাত পেয়ে সব ভুলে গিয়ে একের পর এক ঘটনার সম্মুখীন হয় সে। হারুনদার সঙ্গে ট্রেনে দেখা হয় তার। নিজের নাম মনে থাকা ছেলেটি ট্রেনের দোকানের সামনে দেখা ফটিকচাঁদ নামটিকে নিজের নাম বলে চালিয়ে দেয়। তার আগের পরিচয়, নাম কিছুই মনে করতে পারছে না সে। সে এখন কেবল চেনে বলের খেলা দেখানো হারুনদাকে। চেনে বস্তিতে থাকা হারুনদার আজব ঘরটি। চেনে উপেনদার চায়ের দোকানে আসা হরেক রকম ক্রেতাকে।
ঘটনাচক্রে এখন সে চায়ের দোকানে কাজ করে। তার এই জীবনে বাড়তি উত্তেজনা নিয়ে আসে ধাওয়া খাওয়া গুন্ডার দল।
তারপর কী হলো? ফটিকচাঁদ কি আগের পরিচয় মনে করতে পেরেছিল? নাকি গুন্ডার দল তার বর্তমানকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তা জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। বইটি লিখেছেন সত্যজিৎ রায়। দাম ২৭০ টাকা। বইটি রকমারি থেকে কেনা যাবে।