হোম > ছাপা সংস্করণ

রুশ কিশোরী ও হাসপাতাল

সম্পাদকীয়

অসুস্থ এক বিদেশিনী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু তার দিকে চোখ রেখেছে এক ওয়ার্ড বয়। এই ওয়ার্ড বয়ের চলাফেরা রহস্যময়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চেনে না, এমন নয়। চিকিৎসক-নার্সরাও তাঁর অবাধ চলাচলে কোনো প্রশ্ন তোলেন না। তাই বলা যায়, হাসপাতালের একজন কর্মচারী হয়েও তাঁর খুঁটির জোর ছিল। এদিকে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ যখন বলেন, ‘হাসপাতালের এক কর্মচারী ওই কাজ করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত ঘটনার দায় হাসপাতালের নয়’, তখন সর্বাগ্রে যে বাক্যটি মাথায় আসে, তা হলো, ‘হে ধরণী দ্বিধা হও।’ কতটা অবিবেচক হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন!

ইনচার্জ যদি এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে চিকিৎসাসেবাই ‘গভীর অসুখে’ পড়েছে। প্রতিষ্ঠিত এক হাসপাতালের কর্মচারী কোত্থেকে চিকিৎসকের গাউন জোগাড় করলেন, চিকিৎসকের মতোই ঘুরে বেড়াতে লাগলেন হাসপাতালময়, এটা অবাক করা ব্যাপার নয়? চিকিৎসক সেজে এক কিশোরীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা বারবার খুলে দেখাতে বললেন, কেউ তার কোনো খোঁজ রাখল না? এ রকম এক ‘বিপদ’ হাসপাতালে অবস্থান করছে, সে কথাও কেউ জানল না? এমনকি প্রথমবার যখন চিকিৎসক ও নার্স মেয়েটির শরীরে ফোড়াটি দেখছিলেন, তখনো নীল গাউনে এই যৌন-উন্মাদ সেই কক্ষে উপস্থিত থাকলেও চিকিৎসক বা নার্স কেউই তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেননি। যখন মায়ের চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়েছে, তখনো কর্তব্যরত নার্স এই অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে বলেন! তাহলে দায় শুধু এই যৌন-লিপ্সায় উন্মাদ ব্যক্তিটিরই, নাকি সামগ্রিকভাবে হাসপাতালেরও?

এখন যদি হাসপাতালের সামনের পান বা চায়ের দোকানদার চিকিৎসকের পোশাক পরে এসে রোগীর শরীর দেখতে শুরু করেন, যাত্রী নিয়ে আসা রিকশাচালক কিংবা কলেজের ফাঁকে কোনো শিক্ষার্থীর যদি ইচ্ছে হয়, এই পথ অবলম্বন করে চোখের খিদে, মনের খিদে মেটাবেন—তাহলেও কি দায় সেই ব্যক্তির হবে? হাসপাতাল প্রশাসন কোনো দিকেই নজর রাখবে না? খুবই হতাশাজনক অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এতে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা একেবারেই নিরাপদ বোধ করবে না।

রুশ কিশোরীর মায়ের অভিযোগ যদি আমলে নেওয়া হয়, তাহলে সবার আগে ইবনে সিনা হাসপাতালে রোগীর নিরাপত্তা কতটুকু, সে প্রশ্নটি তুলতে হবে। শুধু ইবনে সিনা হাসপাতালই বা কেন, আমাদের সব হাসপাতাল নিয়েই তো প্রশ্নটি করা যায়। আদতেই কি সব নিয়মনীতি মেনে হাসপাতালগুলো চলে?

পুলিশ তদন্ত করছে ঘটনাটির। কর্মচারীটি এরই মধ্যে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছে। বিচারে হয়তো শাস্তিও পাবে। কিন্তু তাতে সামগ্রিকভাবে হাসপাতালে সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে উঠবে না। কর্তৃপক্ষ যদি এই দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে পরবর্তীকালে এই অনাচার চলবে না বলে ঘোষণা দিতে না পারে, তাহলে একটি হাসপাতাল চালানোর অধিকার তাদের থাকতে পারে না। রোগীর জন্য নিরাপদ হোক সব হাসপাতাল।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন