হোম > ছাপা সংস্করণ

এই ক্রিকেটারদের নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি

রিফাত আনজুম, ঢাকা

করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়তেই গত বছর মার্চে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। মহামারির ধাক্কা সামলে গত নয় মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একে একে সব ধরনের ক্রিকেট, এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ (ডিপিএল) ফেরালেও আড়ালে পড়ে গেছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট।

গত বছরই প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগের অনেক ক্রিকেটার আর্থিক কষ্টে ভুগেছেন। সাময়িক পেশা বদলের খবরও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। সর্বশেষ জানা গেছে, অনেক খেলোয়াড় একেবারেই ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন। কেউ ক্রিকেট সরঞ্জাম বিক্রি করে দিচ্ছেন!

পেশাদার ক্রিকেটের নিচের এই ধাপগুলো শুধু খেলোয়াড় তৈরির মঞ্চই নয়, এই লিগ খেলেই জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক ক্রিকেটার। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় ক্রিকেটারদের আয়ের বড় উৎস স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ।

দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেটে ফেয়ার ফাইটার্স ক্লাবের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন মো. নাজমুল আজম সজল। পরশু হতাশ কণ্ঠে তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘অনেক দিন খেলা বন্ধ থাকায় বড় বিপদে পড়েছি। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন চিন্তা করছি খেলা ছেড়ে চাকরিতে ঢুকব কি না! অনেক ক্রিকেটার আছে, ক্রিকেট সরঞ্জাম ব্যাট-জুতা অল্প টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ভীষণ হতাশ আমরা।’

তৃতীয় বিভাগে ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমিতে খেলা নাঈমুর রহমান কৌশিকেরও অনেকটাই একই অবস্থা। বললেন, ‘করোনায় ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আয়ের পথ একেবারেই বন্ধ। আমার মতো অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছি। আমরা যারা নিচের দিকে আছি, তাদের অবস্থা খুবই করুণ। কোন লক্ষ্য নিয়ে অনুশীলন করব, সেটা জানা নেই।’

প্রথম বিভাগে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের আল মামুন রাজু, তৃতীয় বিভাগের উদিতি ক্লাবে খেলা আরিফুজ্জামান আরিফ ও বিপুল শিকদারের সঙ্গে কথা বলে প্রায় একই উত্তর পাওয়া গেল। তাঁদের মতো দেড় থেকে দুই শ ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের স্বপ্নটা বিসর্জন দিতে হচ্ছে।

ক্রিকেটারদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানিয়েছেন, জুনে ডিপিএল শেষেই বিসিবিকে লিগ শুরুর ব্যাপারে অবহিত করেছেন তাঁরা। এই মৌসুমের সূচিতে প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগসহ অন্যান্য ক্রিকেট থাকলেও এই লিগগুলোর কোনো সূচি করা হয়নি। দেবব্রত বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দিক থেকে ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক তৎপর আছি। আমরা সিসিডিএম চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ডিপিএল শেষ (জুন মাস) হওয়ার পরই আমরা চিঠি দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছি যেন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট শুরু করা হয়। অক্টোবরে জাতীয় লিগ শুরু হবে। এর সঙ্গে যেন এই খেলাগুলো শুরু হয়।’

বিসিবি অবশ্য বলছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ আয়োজনের ভাবনা তাদের ভালোভাবেই আছে। ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘দেশের পরিস্থিতি বুঝে এই লিগগুলো শুরু করার চিন্তা করছি আমরা। অনেক দল নিয়ে এই লিগগুলো আয়োজন করতে হয়। ক্রিকেটারদের কথাটাও আমাদের বিবেচনায় আছে। টিকাসহ অন্যান্য বিষয়ে গতিশীলতা এলেই আমরা চিন্তা করব। আমাদের সক্ষমতায় মধ্যে রেখেই কাজ করতে চাই। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা আমাদের চিন্তায় আছে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন