হোম > ছাপা সংস্করণ

সহজ ভূমিসেবায় ভোগান্তি লাঘব

শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্টের মাধ্যমে অভূতপূর্ব সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ পয়েন্টের মাধ্যমে সহজেই জমি-সংক্রান্ত আটটি সেবা পাচ্ছেন এলাকাবাসী। মাত্র একবার এসে আবেদনের পর আর আসতে হবে না সেবাগ্রহীতাদের। আবেদনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেবাগ্রহীতাদের ঘরে পৌঁছে যায়।

দালালদের দৌরাত্ম্য কমানো, সেবা সহজীকরণ, মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এটির নামকরণ করেন 'কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট'। এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে খুশি সেবাগ্রহীতারা।

আগে এ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জমির রেকর্ড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিড় জমাতো সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানতেন না কীভাবে সমস্যার সমাধান পাবেন। তখন মধ্যস্বত্বভোগী অসাধু দালাল চক্রের কাছে ধরনা দিতেন। তাঁদের খপ্পরে পড়ে ঘুষ দিয়েও প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হতেন তাঁরা।

দালালমুক্ত করতে ও জনদুর্ভোগ কমাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট উদ্বোধনের পর থেকে শুরু হয় কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্টের মাধ্যমে সেবাদান কর্মসূচি। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত এখান থেকে ৬৩ হাজার ৪৫৮ জন মানুষ সেবা পেয়েছেন।

যেকোনো ব্যক্তি তার মোবাইলের এগারো ডিজিটের নম্বর কিউপ্রো মেশিনে দিয়ে প্রেস করলেই মনিটরে পরচা, দাগসূচি, মৌজা ম্যাপ, ইনফরমেশন স্লিপ, মামলার নকল, সাক্ষাৎ, ডাক, আবেদন, অভিযোগ, চিঠি, চেক ও ডকুমেন্ট গ্রহণসহ আটটি অপশন আসে। সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ের ছয়টি কাউন্টারে সেবা দেওয়া হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে কর্তব্যরত ব্যক্তি আবেদন গ্রহণ করে সেবা দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেন। ভোগান্তি ছাড়া এত সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্টের ডেস্ক পয়েন্টের প্রধান সহকারী মো. কামরুজ্জামান বলেন, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত সেবা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডাকযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে।

সেবা গ্রহীতা কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রশান্ত হালদার বলেন, ভোটার আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে ডেস্ক থেকে তাঁকে একটা টোকেন ফেরত দিয়েছে আর বলেছে, খুব শিগগির তাঁর বাড়ি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে কাগজ পৌঁছে যাবে। তাঁকে আর কষ্ট করে যেতে হবে না।

পরচার আবেদন করতে আসা মুকসুদপুর উপজেলার চাউচা গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলী শেখ বলেন, আগে তাঁরা পরচা নিতে আসলে দালালের মাধ্যমে টাকা দিতে হতো। টাকা দেওয়ার ২ / ৩ সপ্তাহ পার হলেও কাগজ পেতেন না। দু-তিন বার আসাতে হতো। এমনকি কয়েকবার টাকা দিয়েও অনেক সময় সেবা পেতেন না। পরচা ওঠাতে এসে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কাছে সেবা সহজীকরণ এবং অফিস দালালমুক্ত করা। একটা জায়গা থেকে জনগণকে প্রাপ্য সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট তৈরি করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গ্রাম থেকে অনেক মানুষ সেবা নিতে আসেন। কিন্তু তাঁরা জানেন না, কোন কাজে কার কাছে, কোথায় যেতে হবে বা কোথায় আবেদন করতে হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অসাধু দালালেরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। ভোগান্তিতে পড়তে হতো সাধারণ মানুষদের। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার সমাধান করতে তাঁরা ফ্রন্ট ডেস্ক রুমকে অত্যাধুনিক মানের করে কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট তৈরি করেছেন।

২০২০ সালের আগস্টে এই পয়েন্ট যাত্রা শুরু করে। সেবা গ্রহীতাকে কিউ মেশিনে মোবাইল নম্বর দিয়ে টোকেন নিয়ে কাউন্টারে গেলে সেখান থেকে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে কাউকে আবেদন লিখে আনতে হয় না। কাউন্টারে গেলে সেখান থেকে সেবা প্রদানকারী সফটওয়্যারে সব তথ্যসহ আবেদন এন্ট্রি করে দেন। জমি সংক্রান্ত যত কাগজপত্রের জন্য আবেদন করা হয় সেটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে রেকর্ড রুমে চলে যায়। সেখান থেকে কাগজপত্র তৈরির পর ডাকযোগে সেবাগ্রহীতার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন