নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গাজী সোহেল দেশে ফিরেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) আম্পায়ারিং করে। মাসুদুর রহমান মুকুল ফিরেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির ফাইনালসহ পুরো টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করে। সোহেল-মুকুল যখন বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াচ্ছেন, তখন সুখবর আছে বিসিবির আরেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের, যিনি গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে শততম ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও সূত্র জানায়, এ মাসেই শ্রীলঙ্কায় আফগানিস্তান-পাকিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন সৈকত। তিনি দুটি ম্যাচে টিভি আম্পায়ারিং করবেন, একটিতে থাকবেন অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। শ্রীলঙ্কায় তাঁর যাওয়ার কথা ১৯ আগস্ট। সৈকত এই সিরিজে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন আইসিসির ইমার্জিং প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে। বাংলাদেশের প্রথম কোনো আম্পায়ার বিদেশে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে টেস্ট খেলুড়ে দুটি দলের ওয়ানডে সিরিজ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। এর আগে এনামুল হক মনি নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে বিদেশে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে আম্পায়ারিং করেছেন। এমন একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সৈকত অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আইসিসির প্রটোকলের কারণে তাঁর পক্ষে মন্তব্য করাও কঠিন।
যেহেতু এবার তিনি আইসিসির পাঁচ সদস্যের ইমার্জিং প্যানেলের আম্পায়ার, সৈকতের জোর সম্ভাবনা আছে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের ম্যাচ অফিশিয়াল হওয়ারও। আইসিসি নাম ঘোষণার আগপর্যন্ত এটি নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে বলার সুযোগ কম। তবে মুকুলের সুযোগ মিলতে যাচ্ছে এশিয়ান গেমসে। গতবার এশিয়া কাপে প্রশংসা কুড়ানো মুকুলের এবারও সুযোগ হতে পারে একই টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করার। গত কিছুদিনে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের দিগন্ত আসলে বড়ই হচ্ছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তাঁরা বাইরে বড় বড় মর্যাদাপূর্ণ সিরিজ-টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। গাজী সোহেল গতকাল যেমন আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন, ‘এলপিএলে একটা ম্যাচে সাকিব (আল হাসান) শর্ট মিড উইকেটে ফিল্ডিং করছিল। আমি তখন স্কয়ার লেগে আম্পায়ারিং করছিলাম। সাকিব আমাকে দেখে বলল, ‘মুকুল ভাইকে কানাডায় দেখে এলাম। এখানে আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আমাদের ক্রিকেটার সংখ্যা যদি বিদেশি লিগে আরও বাড়ে, আপনারাও যদি দেশের বাইরে আসেন, আম্পায়ারিং করেন, আমাদের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।’