কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লক্ষ্মী রানী দে’র নিজস্ব ঘরবাড়ি নেই। উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালের বারান্দায় কাটিয়েছেন ১৩ বছর। এবার নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন তিনি। সংবাদ কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সাংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্মী রানীকে নিয়ে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি কাপ্তাই ইউএনও মুনতাসির জাহানের নজরে আসে। গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মী রানীকে নিজের দপ্তরে নিয়ে আসেন তিনি। এ সময় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লক্ষ্মী রানীকে শীতবস্ত্র তুলে দিয়ে খোঁজ খবর নেন। তাঁকে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল এলাকায় ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ও কাপ্তাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউএনওর আন্তরিক উদ্যোগে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা শিগগিরই এই প্রতিবন্ধী নারীকে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেব।’
ষাটোর্ধ্ব প্রতিবন্ধী লক্ষ্মী রানীর স্বামী-সন্তান নেই। এক যুগের বেশি সময় ধরে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালের বারান্দায় বসবাস করছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রতিদিন খাবার দিয়ে আসছেন।