হোম > ছাপা সংস্করণ

১০০ টাকার স্ট্যাম্প ১৪০

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর আদালত চত্বরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নির্ধারিত দামের চেয়ে শতকরা ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আদালত চত্বরে কিছু অসাধু স্ট্যাম্প ভেন্ডার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রয়োজনের তাগিদে অতিরিক্ত দামেই স্ট্যাম্প কিনছেন সেবাগ্রহীতারা। এ ছাড়া কোর্ট ফি, ফলিও এবং ডেমি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন রাজবাড়ী আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাজবাড়ী জজ আদালত ভবনের নিচে এবং এর আশপাশে আইনজীবী সহকারী ও সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত স্ট্যাম্প ভ্যান্ডাররা চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে থাকেন। বিচারপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষ নানা প্রয়োজনে আইনজীবী সহকারীদের মাধ্যমে এসব স্ট্যাম্প কিনে থাকেন। স্ট্যাম্প ভ্যান্ডাররাই ডেমি, ফলিও এবং কোর্ট ফি বিক্রি করে থাকেন। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ১০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কিনতে হয় ১৪০ টাকায়। ৭৫ ও ৫০ টাকার স্ট্যাম্প কিনতেও দিতে হয় বাড়তি টাকা।

জানা গেছে, দলিল নিবন্ধন, চুক্তিপত্র, নোটারি পাবলিক, হলফনামা, বন্ধকনামা ও মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন কাজে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। আদালতে বিচারকাজে দরখাস্তের আবেদন ডেমিতে করতে হয়। আদালত ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নকলের জন্য ডেমি ব্যবহার হয়। এখান থেকে সরকার প্রতি কর্মদিবসে বড় অঙ্কের রাজস্ব পেয়ে থাকে। যাঁরা সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার, তাঁরা জেলা প্রশাসকের ট্রেজারি শাখা থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। বিনিময়ে ভ্যান্ডাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে সরকারের কাছ থেকে।

সরকার নিবন্ধিত স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমরা বেশি দামে বিক্রি করি না কোনো স্ট্যাম্প। সরকারি দামেই বিক্রি করি। তবে কিছুদিন ধরে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পের সংকট রয়েছে। আমাদের চাহিদামতো সরবরাহ নেই। এ জন্য অন্য স্ট্যাম্প দিয়ে কাজ চালাতে হয়।’ আইনজীবী সহকারী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে জন্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বেশি নিই না। এখন সংকটের কারণে হয়তো অন্য কেউ নিতে পারে।’

আইনজীবী সহকারী অশোক রায় বলেন, ৩০০ টাকা স্ট্যাম্প কিনতে হয় ৪২০ টাকায়। এ ছাড়া ডেমি, কোর্ট ফি, ফলিও—এসব কিনতেও বেশি টাকা দিতে হয়।

রাজবাড়ী বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার সোম বলেন, ‘বিষয়টা এমন, বাড়তি টাকা দিয়ে নিলে নাও, না নিলে যাও। এখন গ্রাম থেকে যে মানুষটা কোর্টে এসেছে কাজে, তাকে তো নিরুপায় হয়ে শতকরা ৪০ টাকা বেশি দিয়েই কিনতে হচ্ছে। এখন প্রশাসন কঠোর নজরদারি এবং তদারকি করলে হয়তো বাড়তি দামটা কমতে পারে।’

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, ‘আইনজীবীরা বাড়তি দামে স্ট্যাম্প বিক্রির বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এটি জানার পর স্ট্যাম্প ভ্যান্ডারদের ডেকেছিলাম। সবাই অস্বীকার করেছে। নির্দিষ্ট করে কারও নাম বললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আমাদের জেলায় ১০০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পের কিছুটা সংকট রয়েছে। বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। দ্রুতই সমাধান হবে। এখন সংকট থাকলেও দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে।’ 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন