রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মেহেরপুরে বাড়তে শুরু করেছে শিশু রোগীর সংখ্যা। তাদের অধিকাংশই ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সময়ে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মাঘ মাসের শেষের দিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা দেয়। কখনো প্রচণ্ড শীত আবার কখন গরম পড়ে। ফলে এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি ও বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ে। হাসপাতালে ২৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৭৩ শিশু। যদিও শিশুদের কথা চিন্তা করে মা ও শিশু ওয়ার্ডে ২৫ শয্যার স্থানে ৬০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে শিশুদের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে না হয়। গতকাল বুধবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১০ শিশু রোগীকে। নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১৩ শিশু।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্স আজিরন নেছা বলেন, কয়েক দিন আগেও হাসপাতালে শিশু রোগী ভর্তি থাকত ৩০ থেকে ৩৫ জন। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে।
সদর উপজেলার রামদাসপুর গ্রামের ইসমাত আরা ৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর মেয়ে ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তিনি বলেন, এখন মেয়েটি সুস্থের পথে। ডাক্তার ছুটি দিলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরব।
ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন গোভিপুর গ্রামের আয়েশা খাতুন। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে প্রায় এক ঘণ্টা। তারপর টিকিট মিলেছে। পরে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছেন। তার মতো অনেক মা এসেছেন সন্তানদের নিয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে।
জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে জ্বর ও ঠান্ডা-কাশিতে আক্রান্ত শিশু রোগী বেশি আসছে। কয়েকজনের করোনা পরীক্ষা করেছি। ফল নেগেটিভ এসেছে। ফলে আমরা ধরেই নিয়েছে শিশুরা সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এ সময়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুরা যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। হাসপাতালে ওষুধসহ চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।