সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট নগরীর লালদীঘির পাড় হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। এই আগুনে মার্কেটের ৩৫টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে চার দিন পেরিয়ে গেলেও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, হকার্স মার্কেটের পাঁচ নম্বর গলির যে কোনো একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘিঞ্জি পরিবেশ ও পানির সংকটে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয় তাঁদের। পরে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কারণ এখনো জানা যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এখনো অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এটা অনেক বড় অগ্নিকাণ্ড। তাই প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলা যায়নি। আমরা তদন্তের জন্য ঢাকা কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হলে তদন্ত করে মূল প্রতিবেদন দেওয়া যাবে।’
এদিকে ঈদের আগে এই ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখনো সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও পুলিশ বলছে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ক্ষতি হয়েছে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার।
লালদীঘির পাড় হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির হোসেন বলেন, মার্কেটে ১ হাজার ৩৫টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।
মার্কেটের ছয় নম্বর গলির ব্যবসায়ী জয়নাল আহমদ বলেন, ‘আগুনে সব পুড়ে গেছে। ব্যাংক ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব, বুঝে উঠতে পারছি না। সবার সহযোগিতা চাই।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেটে অগ্নি নির্বাপণের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।