হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য ‘শেখ রাসেল পুষ্পকানন’

এস এস শোহান ও শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, বাগেরহাট

ল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা-বড়কাচনা রাস্তার পাশে আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যে কারও চোখ আটকাবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সরকারি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই বাহারী সব ফুলের সমারোহ। শেখ রাসেল পুষ্পকানন নামের এই বাগানে রয়েছে গোলাপ, গাঁধা, জবা, ডালিয়া, রজনীগন্ধা, কাঁঠালচাপা, ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা ফুলের গাছ।

বিদ্যালয়ের সামনে থাকা নানা জাতের ফুলের গন্ধে মন জুড়িয়ে যায়। কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ গ্রামবাসীরা প্রতিদিন ফুল বাগানে ভিড় করেন। বিদ্যালয়ের বাগান দেখে বাড়িতেও ফুল গাছ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শুধু আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, উপজেলার ১৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিলবে ‘শেখ রাসেল পুষ্পকানন’ ফুল বাগান। মানবিক ও আলোকিত মোল্লাহাট গড়তে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন।

শুধু ফুল বাগান ও বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় আলোকিত ও মানবিক মোল্লাহাট নামের এই কর্মসূচি। আদর্শ উপজেলা গড়তে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা তৈরিতে সহযোগিতা, প্রচলিত কুসংস্কার রোধে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মোল্লাহাট মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ ও দরিদ্রমুক্ত মডেল উপজেলা হবে বলে দাবি উপজেলা প্রশাসনের।

আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্নি পাইক বলে, স্কুলে আগে ফুল বাগান ছিল না। এখন বাগান হয়েছে। তারা ফুল বাগানের পরিচর্যা করে, ফুল দেখে। অনেক সময় ক্লাসে থাকলেও ফুলের ঘ্রাণ আসে, তাদের খুব ভালো লাগে।

আরেক শিক্ষার্থী জিতু মালাকার বলে, ‘স্কুলে এসেই প্রথম কিছুক্ষণ বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। ফুলের ঘ্রাণ নেই। স্কুলে বাগান দেখে আমি বাড়িতেও বাগান করেছি। বাড়ির গাছগুলোকে নিজেই যত্ন করি।’

আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রিয়াঙ্কা পাইক বলেন, ফুলের বাগান হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। তারা আগের থেকে উৎসাহিত বোধ করছে। শিক্ষার্থীরা আগের থেকে পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী হয়েছে।

নাশুখালি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইখুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ফুল বাগানগুলো শিক্ষার্থীরা খুবই উপভোগ করে। এই বাগান হওয়ায় তারা খুবই খুশি। বাগানের কোনো গাছ নুয়ে পড়লে, বা সমস্যা হলে, শিক্ষার্থীরা সেসব গাছ ঠিক করে দেয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাঁরাও বিষয়টি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করছেন। শিক্ষকদের মৌসুমি ফুলগাছ লাগাতে বলেছেন। যাতে সারা বছর স্কুল প্রাঙ্গণ ফুলে সুশোভিত থাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, আলোকিত ও মানবিক মোল্লাহাট নির্মাণের জন্য তাঁরা বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন। এর মধ্যে নান্দনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে দুই লাখ বই বিতরণ ও ফুল বাগান করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা বলেন, যারা ফুলকে ভালোবাসে না তারা মানুষকে ভালোবাসতে পারে না। এ জন্য তাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুলের বাগান করেছেন। শিক্ষার্থী ফুলকে ভালোবেসে মানুষকে ভালোবাসা শিখবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন