বিনোদন ডেস্ক
আরও একবার ফেলুদা চরিত্রে দর্শকের সামনে হাজির হলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গতকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘সাবাশ ফেলুদা’। সত্যজিৎ রায়ের ‘গ্যাংটকে গন্ডগোল’ অবলম্বনে সাবাশ ফেলুদার পরিচালনার দায়িত্বে অরিন্দম শীল। এ সিরিজের টিজার প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরমব্রতকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, ফেলুদা চরিত্রে পরমব্রতকে ঠিক মানাচ্ছে না। প্রথম দিকে এ বিষয়ে কোনো কথা না বললেও মুক্তির এক দিন আগে নতুন ওয়েব সিরিজটি নিয়ে নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন পরমব্রত।
পরমব্রত বলেন, ‘সাহিত্যনির্ভর যেকোনো চরিত্রে অভিনয় করতে সাহসের প্রয়োজন। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে সাহসের পরিমাণটা আরও বেশি হতে হয়। মতামত সকলের সব সময় ছিল। কিন্তু জাহির করার অভ্যাসটা ছিল না। তবে এখন মতামত ব্যক্ত করাটা মাঝেমধ্যে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
সমালোচনা নিয়ে পরমব্রত আরও বলেন, ‘যাদের কাছ থেকে নেতিবাচক মন্তব্য এসেছে, তাদের মধ্যে তিন ধরনের গোষ্ঠী রয়েছে। এক নম্বর, যাদের খারাপ লাগা যেমন আছে, তেমনই ভালো লাগাও আছে। নতুন একটা কাজ নিয়ে কৌতূহল, উৎসাহ রয়েছে। দ্বিতীয় গোষ্ঠী, যারা হয়তো কোনো এক অভিনেতাকেই তাদের স্মৃতির মণিকোঠায় বসিয়ে রেখেছে। কিংবা বইয়ের পাতায় পড়ে কল্পনায় এক বিশেষ ছবি এঁকে রেখেছে। ফলে সেই ছবির সঙ্গে আমায় মেলাতে পারছে না। সিরিজ়টা দেখার পর হয়তো এদের ধারণা বদলেও যেতে পারে। তবে তৃতীয় একটা গোষ্ঠীও রয়েছে। যারা শুধুই নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য সব ব্যাপারেই কোনো না কোনো মতামত দেয়। এর আগে যখন ফেলুদা ও ব্যোমকেশ করেছি, তখনো এমন হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, এমন একটা কাজ করতে গেলে এগুলো যে হবে, সেটা জেনেই এগোতে হয়।’
সাবাশ ফেলুদা সিরিজে তপেস রঞ্জন মিত্রর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। শশধর বসুর চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী। এ ছাড়া এই সিরিজে রয়েছে একজন নারী চরিত্র। আইবি অফিসার রিনচেন গংপো। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরসেনী মৈত্র।