হোম > ছাপা সংস্করণ

কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত হয়নি পাঠানো হলো ঢামেকে

মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া

দিনভর নাটকীয়তা শেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবির কুমার বিশ্বাস।

দাফনের ১৪ দিন পর ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে তোলা হয়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে বেলা সাড়ে ১১টার সময় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ঢোকানো হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। ১টা ২৫ মিনিটে মেডিকেল বোর্ডের ৩ সদস্য মর্গে ঢোকেন এবং ৫ মিনিট পর বের হন। বেরিয়ে তাঁরা সেলিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করে সিভিল সার্জন বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিকেল ৪টার দিকে সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বেলা আড়াইটার কিছু পরে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে (সিভিল সার্জনকে) এই অপারগতার বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর পাঠানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হলো। সিভিল সার্জন বলেন, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা চাওয়ার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।

পরে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান সিভিল সার্জন। সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ঢাকার পথে রওনা হয়। এদিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো স্থানীয় চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ওসি প্রবির কুমার বিশ্বাস বলেন, এখানে ময়নাতদন্ত না করার কোনো কারণ দেখি না। এখানকার চিকিৎসকেরা ঝামেলা এড়ানোর জন্য এমনটি করেছেন।

শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। ড. সেলিম হোসেনের বড় দুলাভাই মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন নাটক চলেছে। এখন লাশ ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা বুঝতে পারছি না এখানে কেন তাঁর ময়নাতদন্ত করা সম্ভব না। চিকিৎসকেরা কোনো চাপের কারণে এই কাজ করেছেন।

বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ তোলার সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ওসি ও কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনেরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।

উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন