হোম > ছাপা সংস্করণ

রেডিওর সঙ্গে ৪৭ বছর

মাসুদুর রহমান মাসুদ,ঝিকরগাছা (যশোর) 

‘বাংলাদেশ বেতার। খবর পড়ছি…’ অথবা ‘এখন শুনবেন ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান…’ শব্দতরঙ্গে ভেসে আসা এসব ঘোষণার এক দারুণ মোহ ছিল একসময়। সকাল, সন্ধ্যা কিংবা রাত, সংবাদ অথবা সংগীত—দুটিতেই মন মাতাত বেতার বা রেডিও। ১৯৭১ সালে গোল হয়ে বেতারে সংবাদ শোনার গল্প এখনো কিংবদন্তির মতো ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এই ২০২৩ সালে, যখন চারদিকে ডিজিটাল মাধ্যমের জয়জয়কার, এমন দিনেও রেডিও শোনেন মো. আবদুস সাত্তার। বাড়িতে টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন থাকার পরও প্রায় ৪৭ বছর ধরে রেডিও শুনে চলেছেন তিনি! আবদুস সাত্তারের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে। 

শ্রোতা হিসেবে রেডিওর খবর, খেলার ধারাবিবরণী, সংসদ অধিবেশন, নাটক, গানসহ সবই শোনেন আবদুস সাত্তার। তিনি দেশের রেডিও চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান শোনেন নিয়মিত। সেই সঙ্গে শুনতেন বিবিসি বাংলা, রেডিও জাপান, চীন আন্তর্জাতিক রেডিও, রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আরভিএ) এবং আকাশবাণী কলকাতার খবর। তাঁর জীবদ্দশাতেই অনেক রেডিও চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলার সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছেন তিনি।

আবদুস সাত্তার ঝিকরগাছা উপজেলার বেজিয়াতলা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। ১৯৭২ সালে তাঁর এক নিকটাত্মীয় গোলাম রসুল তাঁকে বল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। তখন থেকে সাত্তার বল্লায় গোলাম রসুলের বাড়িতে থাকতেন। বল্লা বাজারে গোলাম রসুলদের মুদিদোকান ছিল। অন্যদের মতো সেখানে থাকা রেডিওটির শ্রোতা ছিলেন সাত্তারও। ১৯৭৬ সালে গোলাম রসুল দোকানটি সাত্তারকে দিয়ে দেন। সেই সূত্রে দোকানে থাকা রেডিওটির মালিক বনে যান সাত্তার। রেডিটি তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে যায়। সে রেডিওটি পুরোনো হয়ে গেলে ১৯৮০ সালে তিনি ২০০ টাকা দিয়ে একটি চায়না রেডিও কেনেন। এ পর্যন্ত তিনি ৮ থেকে ১০টি ব্র্যান্ডের রেডিও কিনেছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৬৫০ টাকায় কিনেছেন ভারতীয় সন্তোষ ব্র্যান্ডের রেডিও। সেই রেডিও এখন সাত্তারের সঙ্গী।

আবদুস সাত্তারের রেডিও শোনার বিষয়টি এলাকার সবার জানা। পার্শ্ববর্তী কুলিয়া সিদ্দীয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলী জানালেন, সহজ-সরল সাত্তারের দেশ-বিদেশের খবরের প্রতি আগ্রহ আছে। তিনি নিয়মিত পত্রিকা কেনেন এবং পাঠ করেন। তারপরও সব সময় রেডিও শোনেন। তাঁকে ছাড়া রেডিও শোনার লোক এখন তেমন দেখা যায় না।

আবদুস সাত্তারের সঙ্গে কথা হয় এক বিকেলে। রেডিও শোনার অনেক স্মৃতি তাঁর মনে পড়ে এখনো। ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় রেডিও শুনতে বহু মানুষ তাঁর পাশে জড়ো হতো খবরের সময়। এখন আর মানুষ রেডিওতে খবর শুনতে আসে না। এতে তাঁর মন খারাপ হয় বটে। সে জন্যই কাজের ফাঁকে মাঠে সময় পেলেই রেডিও শোনেন। সাত্তার বলেন, ‘অবসাদ, অশান্তি ও একাকিত্বে রেডিও ভালো সঙ্গী। লোকে যা-ই বলুক, আমি রেডিও শুনে শান্তি পাই।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন