আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ রোববার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুরে ৭ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এসব নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। এই পাঁচ রাজ্যের চারটিতেই, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিজেপি বিজয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের কাছ থেকে পাঞ্জাব ছিনিয়ে নিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। এখানে বিধানসভার ৪০৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুরে ভোটের লড়াইয়ে একপ্রকার উড়েই গেছে দলটি।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নির্বাচনে দলের ভরাডুবির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে আজ বৈঠক করবে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে এই বৈঠকেই সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন। তবে দেখার বিষয়, কমিটি তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে কি না। কারণ, কংগ্রেসের এই কার্যনির্বাহী কমিটির সব নেতাই গান্ধী পরিবারের অনুগত। এর আগেও সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যানের ইতিহাস রয়েছে এই কমিটির।
তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। তারা বলছে, কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য এবার নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন। গান্ধী পরিবারও পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য এনডিটিভিকে বলেছেন, সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা যদি পদত্যাগ করেন, তাতে দলেরই উপকার হবে। বরাবরের মতো আজকের বৈঠকের শুরুতেও সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দেবেন। এই ভাষণের ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু। এমনও হতে পারে, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের হারানো আনুগত্য ওই এক ভাষণেই ফিরে আসতে পারে। কার্যনির্বাহী কমিটি আবারও তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন টানাপোড়েনের পর তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী আবারও কংগ্রেসের নেতৃত্বে ফেরেন।